রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তাসকিনকে টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

বেইলি রোডে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে রিকশাচালক, আরোহী বাবা ও তার কোলের পাঁচ মাসের শিশুকে আহত করার মামলায় গ্রেপ্তার কিশোর তাসকিন আহম্মেদ শাফির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো আদেশ দেয়া হয়। সেখানে উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তার সামনে পুলিশকে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল-মামুন এ আদেশ দেন।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার এসআই শ্রী বিপ্লব সরকার কিশোর তাসকিন আহম্মেদকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বেলা ২টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তখনো তাসকিনের পক্ষে তার আইনজীবী বাবা আদালতে উপস্থিত হননি। এসময় বিচারক তাসকিনকে দেখে বলেন, ওর তো গাড়ি চালানোর বয়স হয়নি। লাইসেন্স নাই। তার হাতে গাড়ি দিল কেন? ওর বাবাকে গ্রেপ্তার করা উচিত। এরপর তাসকিনের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, গাড়ি কার নামে? তখন তাসকিন বলে, তার বাবার নামে গাড়ি। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন আক্তার বিচারককে বলেন, সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি। ৬ মাস আগে কেনা হয়েছে। তার বাবা সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তাসকিন কোথায়, কিসে পড়াশোনা করে জানতে চাইলে উত্তর দেয় সে। এরপর বিচারক বলেন, তাকে রিমান্ড দিতে পারবো না। রিমান্ড হবে না।

তখন তাসকিনের উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, এখনো অনেক সময় পরে আছে। বড় হও, অনেক গাড়ি চালাতে পারবে। তুমিও তো একজনের ছেলে। যে শিশুটাকে আহত করেছো সেও তো কারো না কারো ছেলে। কত সময়, কত দিন পরে আছে। জীবনটা কী এতো ছোট। এরপর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে তাকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ফখরুল হাসান তার পাঁচ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হন। তিনি একটি রিকশা নিয়ে মগবাজার থেকে বেইলি রোড হয়ে রমনা পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেইলি রোডে একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার তাদের বহনকারী রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাচালক আনোয়ার ইসলামসহ গুরুতর আহত হন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার পাঁচ মাসের শিশু পুত্র ইব্রাহিম মোহাম্মদ বীন হাসান। দুর্ঘটনার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। পরের দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাসকিন তার মাকে নিয়ে বাসে করে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় তার দাদার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে আবার চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গায় তার খালার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকে। পরে দুই উপজেলার থানা পুলিশের সহায়তায় তাসকিনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন