ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপে শরণার্থী পাচারকারী অপরাধ চক্র দমনে তুরস্ক ও গ্রিসকে সহায়তা করতে ইজিয়ান সাগরে অভিযানে যাচ্ছে ন্যাটো জাহাজ। ন্যাটোর শীর্ষ কমান্ডার গতকাল একথা জানিয়েছেন। ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নৌবাহিনী নামানোর ব্যাপারে একমত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই কমান্ডার জেনারেল ফিলিপ ব্রিডলভ খুব দ্রুতই অভিযানের কাজ শুরু করে দেওয়ার কথা জানান।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা সঠিক পথে জাহাজ নিয়ে যাচ্ছি।” যাত্রাপথে থাকার সময়ই আরও সূচারুভাবে অভিযানের পরিকল্পনা করে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার প্রথম এ অভিযান পরিকল্পনার কথা তুলেছিল জার্মানি এবং তুরস্ক। তারপর হঠাৎ করেই ন্যাটো এ পরিকল্পনা হাতে নেয়। ইউরোপে শরণার্থী সঙ্কট সামাল দিতে দেশগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যে তাদের এ পদক্ষেপ। গতবছর ইউরোপের দেশগুলোতে পৌঁছেছে ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ শরণার্থী সঙ্কট। ন্যাটো কমান্ডার ব্রিডলভ বলেন, সাগরে অভিযানের পাশাপাশি সেনারা তুরস্ক-সিরিয়া স্থলসীমান্তের মানবপাচারকারীদের ওপরও নজর রাখবে।
ন্যাটো জেনারেলরা এখনো অভিযান পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না জানালেও ন্যাটো জাহাজগুলো তুরস্ক ও গ্রিক উপকূলরক্ষী বাহিনী ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সীমান্ত সংস্থা ফনটেক্সের সঙ্গে মিলে কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মানি এ অভিযানে তুরস্ক ও গ্রিসের সঙ্গে যোগ দেবে বলে জানিয়েছে। ওদিকে, ন্যাটোর সবচেয়ে শক্তিশালী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এ পরিকল্পনায় পূর্ণ সমর্থন দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার বলেছেন, “এই গরিব মানুষগুলোর অসহায়ত্বের সুযোগে তাদের অপব্যবহার করার একটি অপরাধচক্র এখন গড়ে উঠেছে। সুসংগঠিতভাবে এ মানবপাচার চলছে।”
ডেনমার্ক মানবপাচার-বিরোধী অভিযানে একটি জাহাজ পাঠাতে পারে বলে জানিয়েছেন জার্মানির এক কর্মকর্তা। অবদান রাখতে পারে নেদারল্যান্ডসও। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন