সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে ক্ষোভ রাজপরিবারের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২১, ১:০১ পিএম

ব্রিটিশ রাজপরিবারকে নিয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসি একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। তারপর থেকেই এটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিবিসির ওই তথ্যচিত্রের সমালোচনা করেছেন। গণমাধ্যমের তথ্যচিত্র নিয়ে এ ধরনের বিবৃতি দেওয়ার ঘটনা বিরল।

‘দ্য প্রিন্সেস অ্যান্ড দ্য প্রেস’ শিরোনামের তথ্যচিত্রে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের দায়িত্ব ছাড়ার আগে গণমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব নিয়ে নেপথ্যের দৃশ্য তুলে আনার দাবি করা হয়েছে। হ্যারি এবং তার বড় ভাই উইলিয়াম কীভাবে গণমাধ্যম সামলেছিলেন তা নিয়ে সেখানে আলোচনা করা হয়েছে।

দুই পর্বের তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব স্থানীয় সময় সোমবার রাতে প্রচার করা হয়। তাতে প্রিন্স হ্যারিকে গণমাধ্যমের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করতে দেখা যায়। ২০১৬ সাল থেকে মার্কিন অভিনেত্রী মেগানের সঙ্গে ডেটিং শুরু করার পরে মেগানের সমালোচনামূলক প্রচার আরও খারাপ হতে শুরু করে। তথ্যচিত্রে আরও বলা হয়েছে, শুরুতে হ্যারি–মেগানের জনপ্রিয়তা থাকলেও রাজপ্রাসাদের ভেতরে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের কারণে প্রাসাদ অভ্যন্তরের লোকজন গণমাধ্যমে নেতিবাচক খবরের সূত্র হয়েছেন।

এ তথ্যচিত্র প্রচারের পর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস ও উইলিয়াম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ তথ্যচিত্র প্রচারের আগে তাদের দেখাতে অস্বীকৃতি জানায় বিবিসি। বাকিংহাম প্যালেস, ক্লিয়ারেন্স হাউস ও কেনসিংটন প্যালেসের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য একটি মুক্ত ও দায়িত্বশীল সংবাদপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রায়ই অজানা সূত্র থেকে ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত দাবি করা হয় এবং তথ্য হিসেবে তা উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু যখন বিবিসিসহ অন্য কেউ তা বিশ্বাসযোগ্যতা দেয়, তখন তা হতাশাজনক।

তথ্যচিত্রে প্রাসাদ কর্মীদের ওপর মেগানের কথিত উত্পীড়নের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে একজন আইনজীবীর সাক্ষাত্কারও রাখা হয়েছে। অবশ্য তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বাকিংহাম প্যালেস বলছে, অভ্যন্তরীণভাবে তারা এই অভিযোগ তদন্ত করছে। প্রসঙ্গত, মিডিয়ার উৎপীড়নের কথা বলে হ্যারি এবং মেগান গত বছর রাজকীয় জীবন ছেড়ে দেন। এখন তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সূত্র: রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন