শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কেনিয়ায় উটের পিঠে ক্লিনিক!

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩২ এএম

তেরটি উটের পিঠে ওষুধের বোচকা নিয়ে যাচ্ছেন উজ্জ্বল হলুদ টি-শার্ট পরা সাত পুরুষ এবং তিনজন নার্স। বোচকাগুলোতে রয়েছে ওষুধ, ব্যান্ডেজ আর পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত পণ্য। যেন পশুদের খুরের ওপর একটি আস্ত মোবাইল ক্লিনিক। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর সেখানকার পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে। অস্থায়ী তাঁবু গেঁড়ে শুরু হয় স্বাস্থ্যসেবা। বলছি পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার জনপদের কথা। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে এমনিতেই স্বাস্থ্য খাত দুর্বল। অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত দুর্বলতার পাশাপাশি যোগ হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি জনসংখ্যার দেশটি ঘিরে রয়েছে বিস্তীর্ণ সমতল মরুপ্রান্তর আর উপত্যকা। ২ লাখ ২৪ হাজার ৮১ বর্গমাইলের দেশটির যোগাযোগ-অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল।
রাজধানী নাইরোবির সঙ্গে অন্য প্রদেশগুলোর বিচ্ছিন্নতা তখনই ধরা পড়ে, যখন দেখা যায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মারা পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতার দরুন বিভিন্ন জনহিতকর সংস্থা আয়োজিত সাধারণ কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবার আওতায়ও আসতে পারছেন না প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মানুষ। আর এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে উটের পিঠে চড়া মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকগুলো। বাল্যবিয়ে থেকে শুরু করে প্রসূতি সমস্যার সব কিছুতেই নির্ভরতার প্রতীক এই উট ক্লিনিকগুলো।
প্রজননসেবা গ্রহণে পিছিয়ে পড়া কেনিয়ান দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করেছে উটদের সম্মিলিত খুর। বিপদে বন্ধুর মতো, দুর্যোগপূর্ণ সময়ে বিমাসেবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে এ মরুপ্রাণীগুলো।

কেনিয়ার লোকিজি অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ইওয়াসো। নানিউকি শহর থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে নানিউকি নদীর মধ্যবর্তী কণ্টকাময় এ পরিবেশেই বাস করেন পেরিসিয়া। এখানে স্বাস্থ্যসেবা তো সুদূর পরাহত। এখানকার কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন করেছে কমিউনিটি হেলথ আফ্রিকা ট্রাস্ট (চ্যাট)। প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে উটকে পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করে দিচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
গত তিন বছরে চ্যাট কেনিয়ার ১৪টি কাউন্টির এক লাখেরও বেশি মানুষরে কাছে পরিবার পরিকল্পনার ওপর ফোকাস করে টিবি, এইচআইভি এবং কোভিড প্রতিরোধ পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। তাদের প্রচেষ্টাতেই প্রায় ৩৭ হাজার নারী দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন