কম্বোডিয়ার নাগরিক খিম হাং বলেন, ‘প্রথম দিন বাছুরটি আমার ঘাড়, চুলের কাছে এসে চেটে দেয়। তারপর সিঁড়ি দিয়ে আমার পেছনে আসছিল। ঠিক যেমন আমার স্বামী করতেন। তারপর থেকেই মনে হয় আমার স্বামী গরু হয়ে ফের আমার কাছে এসেছেন।’
দেশটির ক্রাতি প্রদেশের ৭৪ বছর বয়স্কা এই নারীর স্বামী মারা গেছেন গত বছর। এরপর বাড়ির বাকি স্বজনদের সঙ্গেই দিন কাটছিল তার। একদিন বাড়ির একটি বাছুর তার মুখের কাছে মুখ এনে আদর করেছিল। তখন থেকেই খিমের মনে হতে থাকে গরুরূপে পুনর্জন্ম হয়েছে মৃত স্বামীর। বাছুরটিও এরপর একাধিকবার তার কাছাকাছি আসতে শুরু করে। আদর পেতে চায়। ধীরে ধীরে বাছুরের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয় খিমের। পরে সিদ্ধান্ত নেন বাছুরটিকে বিয়ে করবেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে আনুষ্ঠানিকতা সারতে আর বিলম্ব করেননি খিমা। গ্রামবাসীর উপস্থিতিতেই বাছুরটিকে স্বামী হিসেবে বরণ করে নেন। বিয়ের পরে বাছুরটি থাকতে শুরু করেছে তারই সঙ্গে বাড়ির নিচতলার একটি ঘরে। নিয়মিত তার গোসল করানো, খাবার দেওয়া থেকে সব ধরনের যত্নই নিচ্ছেন তিনি। তার এই কথিত স্বামী যেন আরাম করে ঘুমাতে পারে, সে জন্য নরম বালিশ-বিছানার ব্যবস্থাও করেছেন খিমা।
খিমা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি বাছুরটি আমার স্বামী। কারণ সে আমার সঙ্গে একই আচরণ করে, যা স্বামী বেঁচে থাকার সময় করতেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন