বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, খেলাফত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যে ইনসাফ ও ন্যায় বিচার বিশ্ববাসিকে উপহার দিয়ে গেছেন তাতে মুসলমানসহ সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য অধিকার রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইনই চলবে। সংসদে আল্লাহর আইন পাশ করে কোরআন সুন্নাহর শাসন কার্যকর করতে হবে। মাওলানা আতাউল্লাহ খেলাফত প্রতিষ্ঠা হলে সকল জুলুমের অবসান ঘটবে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় আলেম ওলামাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। অনেক আলেম পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম হওয়ায় তারা অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি জানান। খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাওহিদী জনতাকে নতুন করে জাগ্রত করতে হবে। তিনি দল মত নির্বিশেষে সকলকে এক ও নেক হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, খেলাফত শাসনব্যবস্থা না থাকায় দেশে খুন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষন, দুর্নীতি, জুলুম নির্যাতনের সয়লাব চলছে। দেশে বাহ্যিক উন্নয়নের অন্তরালে নৈতিকতার চরম বিপর্যয় ঘটছে। সোমবার রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া মাদরাসা ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা হাজী ফারুক আহমাদ, মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা আকরাম আলী ফরিদপুর, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান খান তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব হাজী জালাল উদ্দিন বকুল,যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, মুফতি আব্দুল আজীজ চট্রগ্রাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, মাওলানা শায়েখ নাসিরউদ্দীন সিলেট, অ্যাডভোকেট লিটন চৌধুরী, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাওলানা সানাউল্লাহ, ডা: নিয়ামত আলী ফকীর জামালপুর , মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, এডভোকেট আব্দুল আজীজ মোমেনশাহী, মাওলানা আব্দুল হাই নোয়াখালী, মুফতি আলী হায়দার গাজীপুর, মাওলানা আনোয়ারুল্লাহ ভূইয়া ফেনী, মাওলানা শেখ সাদী নারায়ানগঞ্জ, ডাঃ আতাউর রহমান চৌধুরী, মাওলানা রসিদুল হক বিএসসি, মুফতি শিহাবউদ্দিন কাসেমী গোপালগঞ্জ, মাওলানা সানা উল্লাহ ফিরোজ বরিশাল, মৌলভী আনোয়ার আহমাদ নেত্রকোনা, মুফতি মোর্শারফ হোসাইন নরসিংদী, মাওলানা গাজী আব্দুর রহীম নেত্রকোনা, হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান ফরিদপুর, মাওলানা মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফী ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুক্তিযুদ্ধা কারী মাসুদুল হক কিশোরগঞ্জ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শরীয়তপুর, আব্দুল লতিফ সিরাজী পিরোজপুর, মাওলানা শফিউল্লাহ নড়াইল, মাওলানা আবু বকর লালমনিরহাট, মাওলানা মুজাহিদ খান নওগা, মোঃ আবুল কাশেম ঠাকুরগাঁও, মাওলানা হাফিজুর রহমান সরদার গাইবান্ধা, মাওলানা আব্দুস সালাম সিরাজগঞ্জ, মাওলানা মনোয়ার হোসাইন চাঁদপুর, মাওলানা ইসমাইল লক্ষ্মীপুর, মাওলানা আব্দুল্লাহ হারুন লক্ষ্মীপুর ও মুহাম্মাদ শাহীন আলম চৌধুরী ভোলা প্রমুখ। মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন , খেলাফত আন্দোলন বস্তুবাদী, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রচলিত কোন রাজনীতি নয়, খেলাফতের রাজনীতি একটি ইবাদত। নৈতিক, আধ্যাতিক ও উন্নত চরিত্র গঠন এ আন্দোলনের কর্মীদের প্রধান শর্ত। সম্মেলনে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলামের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তার রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষভাবে দোয় করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন