তুরস্ক-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলার হলেও এক্ষেত্রে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ট্যাক্স হলিডেসহ নানা সুবিধা প্রদান করছে। অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিনিয়োগের জন্য আদর্শ স্থান হিসেবে গড়ে উঠছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের ৯২ শতাংশ রপ্তানি ও ৮৫ শতাংশ আমদানি কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
তুরস্ক বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হুলিয়া জেডিকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদল চিটাগাং চেম্বারে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আজ সকালে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন।
চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, তুরস্ক বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান পোলাট এরকুমেন্ট এবং ওজদেন হিদায়েত ওনুর, তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান বক্তব্য রাখেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ শিল্পাঞ্চলে জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগের জন্য বিশেষ জোন নির্মাণ করছে। কাজেই তুর্কির উদ্যোক্তারা বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে শিল্প কারখানা স্থাপন করে ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাপূরণের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। তিনি বেসরকারি খাতে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ইস্তাম্বুল-ঢাকা-চট্টগ্রাম ফ্লাইট চালু করার অনুরোধ জানান এবং পরবর্তী চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে তুরস্ক অংশগ্রহণ করবে বলে তথ্য প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন