এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকরা গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজারস্থ’ জাতীয় বিশ^দ্যিালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, বেসরকারি কলেজসমূহে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের সাড়ে ৫ হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে জনবলে অন্তর্ভুক্তি না থাকার অজুহাতে দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধার বা এমপিওভুক্তির বাইরে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয় না। করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার অজুহাতে প্রদত্ত নামমাত্র বেতনটুকুও বন্ধ ছিল। ফলে শিক্ষকগণ জীবন-জীবীকার কঠিন সমীকরণে আটকে গেছেন। অথচ একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকগণ ক্যাডার/নন-ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রী ৩য় শিক্ষকগণ জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মাস্টার্সের সমমান বা কামিল শ্রেণির শিক্ষকগণও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণও এনটিআরসিএ সনদধারী হয়েও জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারছেন না, যা চরম বৈষম্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে পেশাগত দাবি আদায়ের জন্য অনেক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরেও অদ্যবধি আমরা সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাধ্যমে শিক্ষা সেক্টরে অনেক বৈষম্য কমেছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত সারাদেশের মাত্র সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক এখনো এমপিওভুক্তির বাইরে রয়েছেন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও কর্মরত সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে প্রতিমাসে ১২ কোটি বা বছরে ১৪৪ কোটি টাকার বাজেটে বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়; জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার শিক্ষাবান্ধব সরকারের সুযোগ্য শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত জনবল কাঠামো সংশোধন করে এমপিওভুক্তি চাই, বেঁচে থাকার সুযোগ চাই। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন সংগ্রামের পরেও আমাদের দাবিটি উপেক্ষিত রয়েছে, যা অমানবিক বটে। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে কর্মরত সাড়ে ৫ হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে এমপিওভুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় উক্ত দাবিতে আমাদের চলমান শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
‘ডিএনসিসির গাড়িতে আধুনিক জিপিএস ও ক্যামেরা স্থাপন করা হবে’
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির সকল গাড়িতেই আধুনিক জিপিএস ও ড্যাস ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। গাড়ি চালানোর জন্য যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত তাকেই গাড়ি চালাতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে কর্মরত পরিবহন চালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জিপিএস ট্র্যাকার লাগানোর পর তা নিয়মিত মনিটরিং করা হবে হবে। প্রতিটি গাড়ি কখন বের হয়, কোথায় যায় সবকিছুই রেকর্ড করা হবে। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে, একজনের কাজ অন্যকে দিয়ে করানোর প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে গোল্ডেন হ্যান্ডসেক দেয়া হবে।
তিনি বলেন, পরিবহণ চালকদেরকে প্রতিবছর কমপক্ষে একবার সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোন গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবেনা এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বর্জ্যরে কোনো গাড়ি দিনে চালানো যাবে না। ডিএনসিসির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সেবার মানসিকতা নিয়ে জনকল্যাণে কাজ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন