স্টাফ রিপোর্টার : চেতনা ফিরে আসায় পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। যদিও মাঝে মাঝে ভুলেও যাচ্ছেন। গতকাল তাকে হুইল চেয়ারে ঘোরানো হয়েছে। খাওয়ানো হয়েছে পুডিং, পানি ও কমলালেবুর জুস। ছাত্রলীগ নেতার চাপাতির কোপে আহতের পর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজা এখন অনেকটা সুস্থ। গতকাল শুক্রবার সংশ্লিস্ট চিকিৎসকরা একথা জানান।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ারের পরিচালক মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। তাকে তরল খাবার দেয়া হচ্ছে। ডাক দিলে সাড়া দিচ্ছে। খাদিজার শরীরের বাম পাশ এখনো কাজ করছে না। তবে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না। আশা করছি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তিনি মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে তার স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে। খাদিজার গলায় যে নল স্থাপন করা হয়েছিল তা বুধবার খুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন।
গতকাল সকালে নার্গিসের বাবা মাসুক মিয়া বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ডাকলে সাড়া দিচ্ছে। মাঝে মাঝে আমাদের চিনতে পারলেও আবার ভুলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকালে খাদিজাকে বিছানা থেকে তুলে বসানো হয়েছে। এছাড়া তাকে হুইল চেয়ারে করে ১০ মিনিট ঘোরানো হয়েছে। সকালে পুডিং, পানি ও কমলালেবুর জুস খেতে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কারো সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি জানান, খাদিজার বাম হাত এখনো অবশ। চিকিৎসকরা বলছেন তার মাথার ডান পাশে আঘাত থাকার কারণে বাম হাত অবশ রয়েছে। তবে ফিজিও থেরাপির মাধ্যমে তার হাতে চেতনা ফিরিয়ে আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজের পুকুর পাড়ে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম।
পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার প্রথম দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। পরদিন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। খাদিজার ওপর হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে প্রতিবাদে জেগে ওঠে সিলেটসহ সারা দেশ। হামলার পর স্থানীয় জনতা বদরুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন