শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কর্মীদের বেতন-ভাতার দায়িত্ব সিটিসেলকেই নিতে হবে-তারানা হালিম

প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানটিকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেছেন, সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ‘মানবিক আবেদন’ জানানো ছাড়া টেলিযোগাযোগ বিভাগ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র ‘তেমন কিছু করার নেই’। কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এখন কীভাবে পরিশোধ করা হবে, সেই দায়িত্ব সিটিসেলকেই নিতে হবে। গতকাল (শুক্রবার) গুলশানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানির (বিটিসিএল) টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সরকারের বকেয়া পাওনা পৌনে পাঁচশ’ কোটি টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করে দেয় বিটিআরসি। এরপর বিটিআরসির কর্মকর্তারা র‌্যাব-পুলিশ নিয়ে মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। একই সময়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম বলেন, বার বার সুযোগ দেয়ার পরও বিটিআরসির পাওনা শোধ না করায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। তরঙ্গ স্থগিত করার পর সিটিসেলের কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী গতকাল বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী চলে। বিটিআরসি শুধু নিয়ন্ত্রকের কাজ করে থাকে। একটি কোম্পানি কোথা থেকে ঋণ গ্রহণ করবে, সেই ঋণ কীভাবে পরিশোধ হবে বা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তারা কীভাবে পরিশোধ করবে- এটা একান্ত সেই কোম্পানির দায়িত্ব। সেই হিসেবে সিটিসেলের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দায়-দায়িত্ব সিটিসেলের। এই দায়িত্ব সিটিসেলকেই গ্রহণ করতে হবে।” নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিটিআরসি তার নির্ধারিত ভূমিকার বাড়তি কিছু করতে পারবে না জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির পক্ষ থেকে মানবিক একটা আবেদন থাকবে, যার যে দেনা আছে সিটিসেল যেন তা পরিশোধ করে। সিটিসেলের সুনাম রক্ষার্থে এই সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন।” বকেয়া বেতন এবং চাকরি হারালে ক্ষতিপূরণসহ সাত দফা দাবিতে গত আগস্ট মাস থেকে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে স্থায়ী সাড়ে চারশ’ কর্মীসহ মোট ৬৫০ জন কর্মী রয়েছেন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল), পরে মালিকানার হাতবদলে যা বর্তমান সিটিসেলে পরিণত হয়।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন