সরকারি প্রোপাগান্ডা চালানোর দায়ে সাত দেশের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। এই দেশগুলো হলো- চীন, রাশিয়া, মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, তাঞ্জানিয়া ও উগান্ডা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। সেই বিবৃতির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে চীনে। করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো এবং দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে চীনের সরকারপন্থী ২ হাজার ৪৮টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে টুইটার।
এছাড়া চাঙ্গিউ কালচার নামে একটি চীনা কোম্পানির ১১২ টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে জিনজিয়াংয়ের প্রাদেশিক সরকারের সঙ্গে যুক্ততার অভিযোগে।
বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, করোনাভাইরাসের উৎসের সন্ধান নিয়ে যখন চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সে সময় চীনের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উইলসন এডওয়ার্ডস নামে সুইজারল্যান্ডের এক জীবাণুবিদের বক্তব্য ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল।
এডওয়ার্ডসের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র অনর্থক করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে বাধার সৃষ্টি করছে। অথচ পরে জানা গেছে, উইলসন এডওয়ার্ডস নামে সুইজারল্যান্ডে কোনো জীবাণুবিদ বা জীববিজ্ঞানী নেই।
মধ্য আফ্রিকার দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শতাধিক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে টুইটার। এই দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ নিবিড় হয়েছে ২০১৮ সাল থেকে।
এছাড়া লিবিয়া ও সিরিয়াতে রাশিয়ার অবস্থান নিয়ে প্রপাগান্ডামূলক প্রচারণা চালানোর অভিরেযাগে বন্ধ করা হয়েছে আরও ৫০ রুশ ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট।
বুধবার করোনা নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানোর অভিযোগে ৫০০ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তার একদিন পরই এই উদ্যোগ নিল টুইটার।
মেক্সিকো সরকারের পক্ষে প্রপাগান্ডা চালানোর অভিযোগে সেই দেশের ২৭৬টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে টুইটার। একই কারণে ভেনেজুয়েলায় বন্ধ করা হয়েছে ২৭৭ টি অ্যাকাউন্ট।
এছাড়া তাঞ্জানিয়ায় ২৬৮ এবং উগান্ডায় ৪১৪টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ ঘোষণা করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। সূত্র : এএফপি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন