রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি হত্যাকা-ের ৬ মাস পার হলেও এখনো পুরোটাই রহস্যে ঘেরা। তাকে খুন করা হয়েছিল বিষয়টি নিশ্চিত হলেও খুনের কারণ কিংবা হত্যাকারীর বিষয়ে কোনো ধারণা পায়নি পুলিশ। এখনো এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যাকা-ের মতোই কাজী সাবিরা রহমান হত্যাকা- ক্লু’লেস। ঘটনার পর ওই বাসার সাবলেট থাকা তরুণী ও বাসার নিরাপত্তারক্ষীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়া আর কোন সূত্র পাচ্ছেন না তদন্তের সাথে সংশ্লিস্ট পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। তদন্ত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলমান। এখন পর্যন্ত ক্লুলেস। সন্দেহের তালিকায় অনেকে থাকলেও আমরা এখনও নির্দিষ্ট করতে পারি নাই। প্রতিটি সাইট আমরা নক করছি। প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবার রিশাফল করছি। নতুন করে সবাইকে আমরা আবার জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কাজ চলছে, তবে আসামি ধরার মতো অগ্রগতি এখনও হয় নাই। চেষ্টা চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতের ভাড়া বাসায় কার কার যাতায়াত ছিল কিংবা অপরিচিত কারো যাতায়াত ছিল কিনা জানার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে সাবিরার ভাড়া বাসা ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। দূরের কয়েকটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সেসব ফুটেজে তেমন কোনোকিছুই স্পষ্ট নয়। তিনটি ফরেনসিক প্রতিবেদন নিয়ে তদন্ত চলছে। এখান থেকে মৃত্যুর কারণ জানা গেলেও হত্যাকারী সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। মামলাটি আগে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
গত ৩১ মে সকালে কলাবাগান ফার্স্ট লেনের ৫০/১ নং বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে গ্রিনলাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমানের রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ফরেনসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আগুন লাগানো হয়েছে। এই আগুনে সাবিরার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৯টি কোপ দেয়া হয়েছিল। আগুন জ্বালাতে দাহ্য পদার্থের যে কথা বলা হচ্ছিল, এ ধরনের কোনো পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন