১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছার পর দাম কমল জ্বালানিটির। সংবাদ মাধ্যম মর্নিংস্টার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পণ্যটির দাম কমে গিয়ে শীর্ষ উত্তোলক ও রফতানিকারক দেশগুলোর অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় দাম বাড়াতে শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত ওপেকের বৈঠকে পণ্যটির উত্তোলন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ওপেকের সদস্য দেশগুলো। এ সিদ্ধান্তে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে ওপেকবহির্ভূত শীর্ষ উত্তোলক ও রফতানিকারক দেশ রাশিয়া। আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত ওপেকের বৈঠকের পূর্বে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলারের নিচে ছিল। বৈঠকে উত্তোলনসীমা আরোপের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আসার পর পরই তা ৫০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে এর চেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়নি পণ্যটির দরে। ওপেক চাইছে পণ্যটির দর স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে। তবে পণ্যটির উত্তোলন-সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলে ৯৩ সেন্ট কমেছে। এদিন নভেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৫০ দশমিক ৬৭ ডলারে। ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে পণ্যটির দাম কমেছে আরো বেশি; ব্যারেলে ১ ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন