খোলা নর্দমায় পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না- এই মর্মে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যেখানে সাদিয়া মারা গেছেন, সেখানকার প্রকৃত অবস্থা কেমন, এ বিষয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনো উন্নয়নমূলক কাজ চলাকালীন পথচারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ এই মর্মেও রুল জারি করা হয়েছে।
রিটের শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে ঢাকনাবিহীন নর্দমায় পড়ে সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার মৃত্যু হয়। নিহত সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগং এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাড়ে ৪ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে ওইদিন রাত পৌনে তিনটায় সাদিয়ার লাশের সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিস। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক আত্মীয়সহ চশমা কিনে বাসায় ফেরার পথে আগ্রাবাদের মাজার গেইট ও আগ্রাবাদ মোড়ের মাঝামাঝি এলাকায় ডায়মন্ড রেস্টুরেন্টের বিপরীত পাশের ড্রেনে পড়ে যান সাদিয়া (১৯)। সে সময় নালায় ঝাঁপিয়ে পড়েও তাকে উদ্ধার করতে পারেননি স্বজনরা। নালার ওপরে আবর্জনার স্তূপ থাকায় এবং তার নিচ দিয়ে পানির স্রোত
থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ (আসক) ও সিসিবি ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার অনীক আর হক এ রিট করেন। শুনানি শেষে উপরোক্ত রুল দেন হাইকোর্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন