শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন

রাজধানীতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং তা খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গতকাল রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে ইউএন ভলান্টিয়ার বাংলাদেশ, ইউএনএফপিএ, ওয়াটার এইড আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কমিউনিটির উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবার অবদান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ভলান্টিয়ার-এর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিলে তারা জানান যে বাংলাদেশে কোনো স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা নেই। সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের অনুরোধ জানালে তিনি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে তাঁর সম্মতি নিয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে নীতিমালা প্রণয়নে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে অনেকগুলো সভা এবং তৃণমূল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপন করে স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বেচ্ছাসেবার এই মহৎ কাজকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়া ও স্বেচ্ছাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে অন্যদেরকে উৎসাহিত করা যাতে সৃজনশীল ও পরকল্যাণমূলক জাতি হিসেবে বাংলাদেশ তার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতে পারে। এ নীতিমালা স্বেচ্ছাসেবা চর্চার বিষয়টিকে আর গতিশীল করবে, যা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে স্বেচ্ছাসেবাকে উন্নয়ন নীতিমালা বিশেষত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে একটি কৌশল হিসেবে কাজ করবে।

দেশের বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বেচ্ছাসেবায় জনসাধারণের প্রবেশ ও স্বেচ্ছাসেবার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম বাংলা ও শহরের যে কোনো জলবায়ু, মহামারি, সামাজিক বা অন্য যে কোন বিপর্যয় থেকে টেকসই উন্নয়ন সম্ভবপর হবে। এই পদক্ষেপ নগর ও গ্রামের মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারি, সামাজিক ও অন্যান্য যেকোন সঙ্কট মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারি আতঙ্কের মধ্যেও সিটি করর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদেও জনপ্রতিনিধিরা, ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকেই স্বেচ্ছাসেবী কর্মকা-ে অংশগ্রহণ করেছেন। অনেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ঔষধ, অক্সিজেন, খাদ্য এমনকি বাজার করে দিয়েছেন। আবার অনেকে হাসপাতালে রোগী পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছেন। জাতীয় নীতিমালা প্রণীত হলে যে কোন দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি স্বীকৃতি পাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত দেশ বিনির্মাণে যে মিশন ও ভিশন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অর্জনে পথ নকশা ঠিক করেছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, ইউএনভি এশিয়া ও প্যাসিফিকের রিজিওনাল ম্যানেজার সেলিনা মিয়া, ইউএনএফপিএ›র রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. একো নারিতা, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক তুয়োমো পৌতিয়াইনেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, ইউএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আকতার উদ্দিন, ভিএসও বাংলাদেশ বিসনেস পারস্যুইট লিড সালাউদ্দিন আহমেদ এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি ডিরেকটর পার্থ হেফাজ শাইখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন