প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপত মো.মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসির) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে । এ তথ্য জানিয়েছেন রিটের পক্ষের কৌঁসুলি মো.মনসুরুল হক চৌধুরী।
তিনি জানান. বিদ্যমান নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা রয়েছে ১০ শতাংশ। ওই কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর এ পরিপত্র জারি করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণী) এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণী) বাতিল করে (তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী) ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডে রাখা হয়েছে। যা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণী) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণী) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ ৭ ভুক্তভোগী রিট করেন। শুনানি শেষে কোটা বাতিলের পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন। প্রসঙ্গত: সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখে সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন