একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে ওমান প্রবাসী মাহবুব হোসেন (২৮)কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। সিআইডির এলআইসির একটি দল হত্যাকা-ের প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেনকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার চারতি নোয়াহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৮ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে মাহবুবকে ফোনে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে সটকে পড়েন সাদ্দাম। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মেরীপাড়া গ্রামের ওমান প্রবাসী মাহবুব হোসেন করোনা মহামারির সময় দেশে ফেরার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় স্থানীয় বখাটে যুবক সাদ্দাম হোসেনের। এরপর একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাগবিত-া হয়। এর জেরে গত ২৮ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে মাহবুবকে ফোনে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে সাদ্দাম দ্রুত পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাইমুড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে ও বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হলে সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সাদ্দাম জানান, তার সঙ্গে নিহত মাহবুবের আগে থেকেই বিরোধ ছিল। মাহবুব করোনার আগে ওমানে কর্মরত ছিলেন। মহামারি চলাকালে চাকরিচ্যুত হয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরত আসার পর মাহবুবের সঙ্গে সাদ্দামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা তৈরি হয়। কয়েক দিন আগে একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপরই সাদ্দাম মাহবুবকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে সাদ্দাম ধন্যপুরে মাহবুবকে ডেকে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে মাথা ও গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন