বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করা এবং গেস্টরুম নির্যাতন-বিরোধী আইন পাশের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের আয়োজনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিন ইয়ামিন মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, আজকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ হওয়া আবরার ফাহাদ হত্যার রায় দেয়া হয়েছে। এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব তা কার্যকর করতে হবে। অমিতের মা বলেছিলেন, যদি তিনি জানতেন তার সন্তান ছাত্রলীগের সাথে জড়িত তিনি তার সন্তানকে জুতাপেটা করতেন। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, কোন দুর্ঘটনা ঘটে গিয়ে কান্নাকাটি করার আগেই খোঁজখবর নিন আপনার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত হচ্ছে কি না।
আবরার হত্যা মামলার রায়ের দ্রুত কর্যকর চেয়ে ইয়ামিন মোল্লা আরো বলেন, ২০ জনের ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো, অথচ মূল হোতা অমিত সাহার সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ দেয়া হলোনা। এটা কেন হলো না তা আমরা জানতে চাই। পাশাপাশি ছাত্রলীগের হাতে আরও যেসকল ছাত্র-শিক্ষক হত্যার শিকার হয়েছে সেগুলোরও বিচার করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র সরাসরি হত্যাকা-ে জড়িতদের বিচার করলেই হবে না। একইসাথে বুয়েটের শেরো বাংলা হলের হাউস টিউটর, প্রভোস্টসহ দায়িত্বশীল সকলকেই দায়িত্বে অবহেলার দায়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম-গেস্টরুম কালচার বিরোধী আইন পাশ করতে হবে।
সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য একদিকে বিজয়ের দিন অন্যদিকে শোকের। এই প্রথম গেস্টরুমে নির্যাতনের শাস্তি হিসেবে আদালত কোন রায় দিলো। কিন্তু শোকের দিন এজন্য যে এখনো গেস্টরুমের নির্যাতন বন্ধ হয়ে যায় নি। শুধুমাত্র বিশ জনের বিচার করলে হবে না, যারা এখনো হলে হলে নির্যাতনের কারখানা তৈরী করে রেখেছে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়াও তিনি উচ্চ আদালতে এই রায়ের কোন পরিবর্তন না হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন