সাধারণত বসন্তের আগমনি বাংলা মাস ফাল্গুনেই গাছে গাছে শোভা পায় আমের মুকুল। অথচ এবার বগুড়ার কিছু কিছু আম গাছে অগ্রহায়ণের শেষ দিকে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। বগুড়া শহর ও শহরতলীর কিছু পুরনো আম গাছে (যেগুলোর মালিক নিশ্চিত করেছেন এগুলো বারোমাসি আম নয়) অসময়ে মুকুল আসায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। মুকুল আসা গাছগুলোর মালিকরা সেই মুকুলের ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্টও করে নিজেদের বিস্ময়ের কথা লিখেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়ার সরকারি উদ্যান উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একজন বিজ্ঞানী জানান, পরিবেশের বিবর্তন এবং আবহাওয়ার রুপান্তরের কারণে এসব হতে পারে। কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী জুলফিকার হায়দার প্রধান বলেছেন, ইদানিং আম গাছে পরিচর্যার নামে ভ্রাম্যমাণ অদক্ষ পরিচর্যাকারীদের দিয়ে গাছে কীটনাশক, হরমোনের স্প্রে প্রয়োগে ভুলের কারণেও এসব হতে পারে।
বগুড়া শহরের বাদুড়তলা এলাকার বাসিন্দা রেজাউল হক বাবুর একটি মাঝারি আকৃতির একটি আম গাছে এখনই ফুটতে শুরু করেছে মুকুল । কারণ তার এই আম গাছটি কলমের চারা নয় বরং ন্যাংড়া প্রজাতির আমের আঁটি থেকে উৎপন্ন। সে কারণেই প্রতিবছর বরং দেরিতে তার গাছে মুকুল আসতো। তাই এবছর এত আগে আমের মুকুলের দেখা পেয়ে বিস্মিত বোধ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন