শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ফের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে উলামা পীর মাশায়েখসহ ১৩টি সংগঠন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:৫১ পিএম

রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ মহাজোটসহ সমমনা ১৩টি সংগঠন। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজারবাগ শরীফ কখনও বিশৃঙ্খলা তৈরী করেনি। জান-মালের ক্ষতি সাধন করেনি। একজনের শাস্তি অপরজনের উপর চাপিয়ে দেয়া অথবা হত্যা, বোমাবাজি, সহিংসতা, সন্ত্রসের মাধ্যমে দ্বীন ইসলাম কায়েম বা প্রচারে বিশ্বাসী নয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের সাথে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আকাশ পাতাল পার্থক্য। জঙ্গিদের কাজের ধরণ হলো- তারা মানুষকে হতাহত করে, ভীত সন্ত্রস্ত করে, অস্ত্র হাতে নিয়ে, হুমকি-ধামকি দিয়ে, বোমাবাজি করে, ত্রাস সৃষ্টি করে। কিন্তু রাজারবাগ দরবার শরীফের কাজের পদ্ধতি হলো, রাজারবাগ শরীফ রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, জনমত তৈরী করে, সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিশুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সাথে রাজারবাগ দরবার শরীফের এখানেই মৌলিক পার্থক্য। বক্তারা বলেন, বর্তমানে রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া ক্যু চলছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী মর্মাহত।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে আদালত থেকে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে। অথচ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম সম্পূর্ণ শরীয়তের পাবন্দ হওয়ায় উনার কোনো ছবিই নেই। উনার কোনো পাসপোর্টও নেই। উনি নিজের থেকেই দেশত্যাগ করবেন না। একই কারণে উনার নামে কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই। উনার গ্রামের বাড়িতে কিছু কৃষি জমি ছাড়া নিজের নামে কোনো সম্পত্তি নেই। পৈতৃকসুত্রে প্রাপ্ত সম্পদের সিংহভাগ তিনি মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার নামে দান করেছেন। এমনকি গ্রামের কৃষি জমিতে উৎপাদিত ফসলও ব্যবহৃত হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য। অথচ উনার নামেই মিডিয়া ও প্রশাসনে ঢুকে পড়া জামাত-শিবির চক্র এত অপপ্রচারণা চালাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আহ্বান, তিনি যেন জামাত-জঙ্গীবাদবিরোধী হক্ব দরবার শরীফ, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথো ব্যবস্থা নেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হোসেন বুখারী- আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মাওলানা মুহম্মদ শোয়াইব আহমেদ, হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল জলীল, ক্বারী মাওলানা মুহম্মদ মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
মাহমুদ গুনবী আওয়ামী লীগ ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:১৬ পিএম says : 1
রাজারবাগীরা শুরু থেকেই জামাত শিবির এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। আমার এলাকার আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীরাই এলাকার রাজারবাগের মুরিদদের কাছে জামাত শিবিরের বিপক্ষে সাপোর্ট হিসেবে মনে করি। দেশদরদী নেত্রী প্লিজ, তাদের প্রতি সদয় হউন।
Total Reply(0)
মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:২৬ এএম says : 1
আমি রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল ইহসান নিয়মিত পড়ি। সেখানে প্রতিদিন একটা কলাম প্রকাশিত হয়, রাজাকারের দিনলিপি। মুক্তিযুদ্ধের দলীল ভিত্তিক লেখা পড়ে সঠিক ইতিহাস জেনে সবাই অনেক উপকৃত হয়েছে। যতটুকু জানি, রাজাকারদের বিচারকার্যে দৈনিক আল ইহসান দলীল নিয়ে এবং এই পত্রিকার সম্পাদকের সাথে কথা বলে দলীল নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষে রাজাকারদের মুখোশ উন্মোচনকারী রাজারবাগ দরবার শরীফের অবদানের স্বীকৃতীদানে আমাদের সবারই এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি। স্বাধীনতার মাসে, এটাই সবার দাবী।
Total Reply(0)
Rubel Mahmud ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:২১ এএম says : 1
আমরা ফ্যামিলিগত ভাবেই আওয়ামী লীগ ঘরোয়া। আজ থেকে 10/12 বছর পূর্বের ঘটনা। এই রাজারবাগীরা জামাত-শিবির জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিটা বাজারে বাজারে দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার লাগাতো। আর আজ তাদের নামেই জঙ্গিবাদের তোকমা লাগাচ্ছে এটা খুবি আশ্চর্যজনক। খোঁজ নিয়ে দেখেন এই রাজারবাগের বিরুদ্ধে জামাত-শিবিরের কোন গ্যাং কাজ করছে। তাই দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর উচিত এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করা।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন