গুরগাঁওকে ২১ শতকের সমৃদ্ধির একটি উচ্চ প্রযুক্তির আলোকবর্তিকা মনে হচ্ছে। দিল্লি সংলগ্ন শহরটি স্টার্টআপ বিনিয়োগের জন্য একটি চুম্বক এবং এটি হরিয়ানার কৃষি রাজ্যেরও অংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রায় সমগ্র ভারতের মতো হরিয়ানায় হিন্দুরা একটি শক্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ তথা ৮৭ শতাংশ এবং মুসলমানরা সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু অর্থাৎ ৭ শতাংশ। প্রায় দু’মাস ধরে হিন্দু জাগরণবাদীরা জুমার নামাজে মুসলমানদের বিড়ম্বনায় ফেলে আসছে। গত ১০ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার জাগরণবাদীদের প্রতি এই বলে তার সমর্থন দিয়েছিলেন যে, ‘প্রকাশ্যে নামাজ সহ্য করা হবে না’।
গুরগাঁওয়ের মুসলমানরা বলছেন যে, তারা নিরাপত্তার জন্য চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন। ব্যাঙ্গালোর থেকে ৬৫ কিমি দূরে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের খ্রিস্টানদের সাথে তাদের এক প্রকারের সাদৃশ্য রয়েছে, যারা এই সপ্তাহে ডানপন্থীদের বই পোড়ানোর শিকার হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকেও কেউ স্বস্তির আশা করতে পারে না - যিনি গত সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি স¤প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে বিস্তৃত হিন্দু আচার পালন করেছেন। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন