শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির কাজটি এ বছর ও আগামী শিক্ষাবর্ষের মতো ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকভাবে চলবে। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। অর্থাৎ সব সময়ই ভর্তির কাজটি হবে লটারির মাধ্যমে। এ ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গতকাল বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ঢাকাসহ সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। সরকারি ও বেসরকারি সব বিদ্যালয়ের জন্যই এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।
ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতা আনা, ভর্তির নামে কোচিং বাণিজ্য, অনাকাক্সিক্ষত তদবির এবং বিভিন্ন রকমের অনৈতিকতা বন্ধ করতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিদায়ী শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। যা আগামী বছরও হচ্ছে। এখন ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অতিরিক্ত ফি নেওয়ার মতো অনৈতিক কাজের অভিযোগ পেলে এবং তা সত্য হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি করে শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো ব্যবসার জায়গা নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো অনৈতিকতা যায় না। এটি যেন সবাই মনে রাখে।
বুধবার ৪০৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল ব্যবস্থায় এই লটারির কাজটি করে দিচ্ছে সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক। লটারির অনুষ্ঠানে জানানো হয় ৪০৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮০ হাজার ১৭টি শূন্য আসনের ভর্তি করা হচ্ছে। এসব আসনের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৩টি। এদিকে ডিজিটাল এই ব্যবস্থায় ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ভর্তির লটারি। বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে সারা দেশে আসন প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬টি। এই লটারিতে অংশ নিচ্ছে ২ হাজার ৯০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন