যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন । গতকাল বৃহস্পতিবার কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে। লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার। পতাকা উত্তোলন শেষে বীর শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। এ দিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের দেয়া বিধিনিষেধের কারণে অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে ও দূতালয় প্রধান রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় প্রেসিডেন্টের বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর শ্রম মো. জহিরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, কাউন্সিলর শ্রম-২-এর মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর বাণিজ্যিক মো. রাজিবুল আজসান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, ২য় সচিব মিস রেহেনা পারভীন। এছাড়া আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসী সাংবাদিক এম এ আবির এতথ্য জানিয়েছেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, মহান বিজয় দিবস জাতীয় জীবনে এক অনন্য গৌরবময় দিন। বিজয়ের এই মহান দিনে সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই, যারা দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। সেইসাথে জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানান। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করছে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীরসন্তানদের।বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় অর্জনের ইতিহাস শুধু ১৯৭১ সালে সীমাবদ্ধ নয়। ইস্পাত কঠিন ঐক্যে দৃঢ় জাতির দীর্ঘ সংগ্রাম আর ত্যাগের সুমহান ফসল এ বিজয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন