বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী নুমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ ও অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। মুক্তিযুদ্ধে যারা আত্মত্যাগের অমর দৃষ্টান্ত রেখেছেন তারা ছিলেন দেশপ্রেমে উদ্ভাসিত। দেশের প্রতি এই ভালোবাসা মানব প্রকৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, একটি সহজাত প্রক্রিয়া। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দেশপ্রেমের অনন্য নিদর্শন আমাদের কাছে রেখে গেছেন। ইসলামের দাওয়াত শুরুর পর যারা তাকে আল আমিন বলতো তারাও তার বিরোধিতা শুরু করলো। এ জন্য হিজরতের প্রয়োজন হলে মক্কা ত্যাগের সময় জন্মভূমির প্রতি মহানবী (সা.) যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা দেশপ্রেমের সর্বকালীন অতুলনীয় একটি দৃষ্টান্ত। অন্যান্য নবী-রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামও জন্মভূমির প্রতি মুহাব্বাত পোষণ করতেন। হাদীসে এসেছে যে, দেশের পাহারায় যারা নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহ তাদেরকে নাজাত প্রদান করবেন। এজন্য যারা আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন, আমাদের উচিত তাদের জন্য দুআ করা।
তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ঈমান রক্ষায়ও আমাদের সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের প্রতি মমত্ববোধ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ঈমানবিহীন দেশপ্রেমও মূল্যহীন। এ প্রসঙ্গে আল্লামা ফুলতলী ছাহেব (র.) এর একটি নির্দেশনা ছিলো ‘বাঁচাও ঈমান, বাঁচাও দেশ’। এজন্য তালামীযে ইসলামিয়ার কর্মীদের দেশ রক্ষার পাশাপাশি ঈমান রক্ষায়ও সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর অভিজাত একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট মহানগর আয়োজিত বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট মহানগরীর সভাপতি এস এম মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পিয়ার হাসান ও সহ-সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান ও কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ বাবু।
শাখা সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সাকেরের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি মো. গাউছুল আলম ও সুনামগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ছায়েম হোসাইন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন