ইনকিলাব ডেস্ক
কাশ্মির সীমান্তে গুলি বিনিময়ে দু’টি শিশুসহ ৪ জন নিহত এবং সাত জন আহত হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং ভারতের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দফতর আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয়বাহিনী বিনা উস্কানিতে গত রোববার রাতে গুলিবর্ষণ করলে ১৮ মাসের শিশু হানিয়া এবং বেসামরিক নাগরিক মুহাম্মাদ আব্দুল লতিফ নিহত হয়েছে। এ সময় আরো ৭ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়।
পাঞ্জাব রেঞ্জার্স ভারতীয়দের পাল্টা জবাব দিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, হারপাল, পাখলিয়া এবং চারওয়া সেক্টরে গুলি-গোলা বর্ষণ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রাতভর দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় অব্যাহত ছিল।
ভারতীয় পুলিশ জানায়, গতকাল খুব ভোরে পুরা সেক্টরে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও ৬ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। বিএসএফ সদস্য পাকিস্তান থেকে ছোঁড়া মর্টার শেলের স্পিøন্টারের আঘাতে মারা যান বলে জানিয়েছেন সেই অঞ্চলে কর্মরত আইজিপি দানিশ রানা। তিনি বলেন, বিএসএফ সদস্য ও শিশুটি রাতে ক্ষুদ্রাস্ত্রের গুলিবিনিময়ের সময় নিহত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গুলি বিনিময়ের সময় অপর সাত বেসামরিক নাগরিকও আহত হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে উরির সেনা ছাউনীতে কথিত পাকিস্তানী জঙ্গিদের হামলায় ১৯ ভারতীয় সেনা সদস্যের নিহত হবার পর। ভারত এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গি ঘাঁটিতে ‘সার্জিক্যাল অপারেশন’ চালিয়ে বহু জঙ্গিকে হত্যার দাবি করে। অবশ্য পাকিস্তান ওই ধরনের কোন অপারেশন হবার কথা অস্বীকার করে আসছে।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে গুলি বিনিময় নিয়মিত ঘটনা হলেও সেখানে পদাতিকবাহিনী মোতায়েনের ঘটনা বিরল। অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৬ পাকিস্তানী রেঞ্জারকে হত্যার দাবি করার পর রাতভর এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো। তবে পাকিস্তান তাদের কোন সেনা সদস্য নিহত হবার দাবি অস্বীকার করেছে। Ñসূত্র : এএফপি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন