স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সন্দেহে নগরীর পতেঙ্গায় একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নোয়াখালী থেকে একজন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত আবু তাহের কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা।
গ্রেফতার আবদুল জলিল নোয়াখালীতে ফেরিওয়ালার কাজ করেন। গত শুক্রবার রাতে তাকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। তার স্ত্রী রওশন আরা সন্তানদের নিয়ে পতেঙ্গায় আবু তাহেরের বাসার একই কলোনিতে থাকেন। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আব্দুল জলিল নোয়াখালীতে থেকে ভ্রাম্যমাণ মুড়িচানাচুর বিক্রি করেন। স্ত্রী রওশনের সঙ্গে তার মাসখানেক আগে তালাক হয়। জলিল সন্দেহ করত, তার স্ত্রীর সঙ্গে বাড়ির কেয়ারটেকার আবু তাহেরের পরকীয়ার সম্পর্ক আছে। তবে কিছুদিন ধরে জলিল আবারও সংসার করতে চেয়ে রওশনকে অনুরোধ করতে থাকেন। গত ৯ ডিসেম্বর জলিল নগরীতে এসে পতেঙ্গায় রওশনের এক মামীর বাসায় ওঠেন। ১৪ ডিসেম্বর রওশনের বাসায় যান।
পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর রওশন তার ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। জলিল বাসায় ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে তাহেরকে সন্দেহ করেন।
তার ধারণা, তাহের তার স্ত্রী ও সন্তানকে লুকিয়ে রেখেছেন। তাহের বড় ভাইসুলভ রওশন আরাকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করতেন। কিন্তু জলিল তাকে সন্দেহ করত। গত বৃহস্পতিবার রাতে জলিল রওশনের মামাতো ভাই ও মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে ডেকে বাসার নিচে নামায়। রওশন কোথায় সেটা জানতে চেয়ে তাহেরকে তিনজন মিলে মারধর শুরু করে। গুরুতর আহত তাহেরকে কলোনির লোকজন উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতেই পুলিশ জলিলকে গ্রেফতার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন