শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কামারখোলা মাহফিলে ছারছীনার পীর ছাহেব

প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আমিরে হিযবুল্লাহ, ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন-শরীয়ত-তরিক্বত ও সুন্নাতের অনুসরণ ছাড়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও দিদার লাভ করা সম্ভব নয়। এগুলো একটি অপরটির পরিপূরক। শরীয়ত মানলাম কিন্তু তরিক্বত মানলাম না, আবার শুধু তরিক্বত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম কিন্তু শরীয়তের ধার ধারে না, আবার শরীয়ত-তরিক্বত উভয়ই মানে কিন্তু সুন্নত অনুযায়ী আমল করে না এমন জিন্দেগী মহান আল্লাহর কাছে মূল্যহীন। এর কোনোটিই বাদ দেওয়া যাবে না। এর থেকে একটি বাদ দিলে কামেল মুমীন হওয়া যাবে না।
পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন-মুসলমানরা ছিল শ্রেষ্ঠ জাতি। জ্ঞান-গরীমা, শিক্ষা-দীক্ষা, ও আমল আখলাকে মুসলমানরা ছিল সর্বোত্তম জাতি। মুসলমানদের নাম শুনলে একসময় অমুসলিমরা থর থর করে কাঁপতো। মুসলমানদের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠতো। এর মূলে কারণ ছিল মুসলমানরা শরীয়ত-তরিক্বত, সুন্নাতের অনুসরণের ব্যাপারে সদা অটল অবিচল ছিল। তারা জীবনের চেয়েও রসূলের সুন্নাহকে বেশি ভালোবাসতো। বর্তমান মুসলিম বিশ্বের এই অনৈক্য ও বিভেদের অন্যতম কারণ হলো মুসলমানদের ব্যক্তিজীবনে শরীয়ত-তরিক্বত, সুন্নাতের অনুসরণ নেই। এককথায় মুসলিম উম্মাহকে ফের মর্যাদার সু-উচ্চ আসনে পৌঁছতে হলে সুন্নাত ত¡িরকা অনুযায়ী আমলের বিকল্প নেই। মোটকথা শরীয়ত-তরিক্বত, সুন্নাতের অনুসরণেই মুসলিম উম্মাহর বিভেদ ও অনৈক্য দূর করতে পারে।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন কামারখোলা খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের আখেরী মুনাজাতের পূর্বে হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।
মাহফিলে হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা ও বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমির আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন বলেন-ছারছীনা দরবার একটি হক দরবার। এই হকের দাওয়াত সবার মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদেরকে প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে। হক ছিলছেলার দাওয়াত পেয়ে যারা আমল করবে তাদের আমলের ছওয়াব দাওয়াত দাতাও পেতে থাকবে।
এছাড়াও খানকায়ে ছালেহিয়া উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এম. এম. এনামুল হক বলেন-ছারছীনা দরবার যুগ যুগ ধরে একই আদর্শ এবং একই আমলের উপর চলে আসছে। মানুষকে আল্লাহমুখী এবং রাসূল প্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মরহুম পীর ছাহেব কেবলাদ্বয় কাজ করে গেছেন এবং বর্তমান হযরত পীর ছাহেব কেবলাও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের পীর ভাইদের এই দরবারের প্রতিটি কাজে সর্বাত্মকভাবে কাজ করতে হবে।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যপক হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর অতিরিক্ত নাযেমে আ’লা প্রিন্সিপাল মাওলানা আলী আকবর, শ্রীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সেলিম, মাও. মো. নেয়ামাতুল্লাহ, জুলপিকার হামদ ও না‘ত পরিবেশক দলের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও আলোচনা করেন বাংলাদেশ জমইয়তে হিজবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমির হযরত শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, ছারছীনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ শরাফত আলী, ছারছীনা আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাও. রুহুল আমিন আফসারী, হাফেজ মাওলানা বোরহানুদ্দীন ছালেহী প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
এই দেশে কোন নবী রসুল আগমন করেনি, আউলিইয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে পদ হারা মানুস গুলো ইমানের দাওয়াত পেয়েছে, আল্লাহওলা হয়েছে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন