ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব বলেছেন, শ্রমিকদের বঞ্চিত রেখে দেশের কল্যাণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরেও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করা যায়নি। বরং দিন দিন বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ শ্রমিক শ্রেণির। ইসলামী আন্দোলন দেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশের অধিকাংশ জনশক্তি শ্রমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দায়িত্বশীলদের কাজ করতে হবে। দায়িত্বশীলরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে সফলতা আসবেই. ইনশাআল্লাহ।
আজ রোববার সকালে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ও দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়রপ্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান ও মুফতী মোস্তফা কামাল।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার এবং বাক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশের বিজয়কে অস্বীকার করে ভারতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৭১-এর বিজয়কে পাকিস্তানের সাথে তাদের সেনাবাহিনীর বিজয় বলে বক্তব্য দেয়ার দু:সাহস কিভাবে দেখায়, বিষয়টি আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। ভারতপ্রেমী নৈশ ভোটের সরকার আজ পর্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ জানাতেও ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী এমপিদের ভারতের প্রতি মায়াকান্না দেখে ভাবতেও কষ্ট হয়ে যায় মন্ত্রী-এমপিরা বাংলাদেশের নাকি ভারতের? সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ আমিনুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কাজ করছে। তিনি সকল দায়িত্বশীলদেরকে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন