শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডিজিটাল ডিভাইসের আমদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৩:৩৪ পিএম

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন ডিজিটাল ডিভাইসের আমদানিকারক থেকে উৎপাদনকারী ও উৎপাদনকারী থেকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফেকচারিং এন্ড এক্সপোর্টার দেশে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে। তাই ওয়ালটন দেশের গর্ব।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে “ওয়ালকার্ট” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাবে সভাপতি শমী কায়সার, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনির, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জেরিন আরনা, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ওয়ালটন চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রিজভি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন আমরা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে এখন বিশ্বের কাছে আকর্ষনীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশে সাড়ে ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা বাংলাদেশে যার যার শহরে বা ঘরে বসে ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিতে আউটসোর্সিং করছে। আউটসোর্সিং করে আইটি ফ্রিল্যান্সাররা সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। তিনি বলেন বেসিসের প্রায় ১৭শ কোম্পানির ছোট ছোট স্টার্টআপরা এখন বাংলাদেশের গণ্ডী পেরিয়ে বিশ্বের ৬০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের সফট্ওয়্যার কোম্পানিগুলো দেশের ব্যাংকগুলোতে কোর ব্যাংকিং সফট্ওয়্যার প্রায় ৩২টি ব্যাংকের ক্লায়েন্ট বেইজড সফটওয়্যার (সিবিএস) সাপোর্ট দিচ্ছে। গতবছর ওয়ালটন ১শত ৬০ কোটি টাকার পণ্য ইউরোপ আমেরিকার বাজারে রপ্তানি করেছে বলে তিনি জানান।

পলক বলেন আইসিটি বিভাগ সারাদেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। তিনি আরো বলেন আমাদের লক্ষ্য এখানে যতগুলো হার্ডওয়্যার থাকবে সেগুলো থাকবে মেইড ইন বাংলাদেশ হার্ডওয়্যার। ডিজিটাল ডিভাইস এবং কান্ট্রি অব অরিজিন হবে বাংলাদেশে। যত সফটওয়্যার ও কনটেন্ট হবে সেগুলোর ডেভলপ, ডিজাইন বাংলাদেশেই হবে বলেও তিনি জানান।

পরে প্রতিমন্ত্রী “ওয়ালকার্ট” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন