শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ইসলামভীতি দূর করতে মিডিয়া নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে ঐকমত্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

যৌথ একটি মিডিয়া নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান, তুরস্ক ও মালয়েশিয়া। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সম্মেলনে ইসলামভীতির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য মিডিয়া নেটওয়ার্ক গড়তে একমত হয়েছে। বলা হয়েছে, তারা সবাই সব অবস্থায় এই ভীতি মোকাবিলা করবে। এ লক্ষ্যে পাকিস্তানের রহমাতুল্লিল আলামিন অথরিটির মতো একটি শাখা গঠন করা হবে ওআইসিতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। পাকিস্তানের রাজধানীতে ওআইসির সম্মেলনে রোববার ব্যস্ত দিন কাটান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিন তিনি সম্মেলনে ভাষণ দেন। সউদী আরব, ইরান ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সম্মেলনের পাশাপাশি সাক্ষাত করেন। সেখানে তিনি সদস্য দেশগুলো যেসব সমস্যার মুখোমুখি তা একক এবং সমষ্টিগতভাবে মোকাবিলা প্রয়োজন বলে মত তুলে ধরেন। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইমরান খান এদিন সাক্ষাত করেন ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল হিসিইন ব্রাহিম তাহা, সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আমির হোসেন আবদোল্লাহিয়ান এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহর সঙ্গে। ইরানের মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্কের ওপর জোর দেন ইমরান খান। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো শাক্তিশালী করার পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। কাশ্মীর ইস্যুতে অব্যাহত সমর্থন, বিশেষ করে সুপ্রিম লিডার পর্যায় থেকে সমর্থন দেয়ায় ইরানের প্রশংসা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় ড. আবদোল্লাহিয়ান ওআইসির ব্যতিক্রমী অধিবেশন আহ্বান করায় পাকিস্তানের প্রশংসা করেন। এক্ষেত্রে তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করতে তার দেশের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সলের সঙ্গে সাক্ষাতে রিয়াদের সঙ্গে পাকিস্তানের বিশেষ সম্পর্কের কথা জোর দিয়ে তুলে ধরেন ইমরান খান। বলেন, তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। আছে ঐতিহাসিক যোগাযোগ। আছে তৃণমূল পর্যায়ে সমর্থন। প্রিন্স ফয়সল আশা প্রকাশ করেন ওআইসি সম্মেলন আফগানিস্তানের মানুষের মানবিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গতিশীল করবে। এ সময় তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে সউদী আরবের সম্পর্কের কথা গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন । ডন পত্রিকাকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন ইমরান খান ও ওআইসি সেক্রেটারি জেনারেল তাহা একমত হয়েছেন পাকিস্তানের রহমাতুল্লিল আলামিন অথরিটির মতো একটি ব্লক গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ওআইসি পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানে থাকবেন একদল মুফতি। বিভিন্ন ইস্যুতে তারা মুসলিমদের দিকনির্দেশনা দেবেন। ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানত আফগানিস্তান সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী বলেছেন, আফগানিস্তানের জন্য সহযোগিতার বন্দোবস্ত করতেই ওআইসির বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। “আফগানিস্তানে মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের প্রভাব এর সীমানার বাইরেও পড়বে- বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুর দেশত্যাগ, অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার মাধ্যমে,” ইমেইলে এমনটাই বলেছেন কোরেশী। দুই দিনের এই বৈঠকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মতো দেশের কর্মকর্তারাও আছেন। তালেবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও এ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, যদিও তাদের সরকারকে এখন পর্যন্ত কোনো দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। অনাহারের ঝুঁকিতে থাকা ২ কোটিরও বেশি মানুষকে খাওয়াতে এবং বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে তালেবান কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়ে আসছেন। সামান্য কয়েকটি দেশ ও দাতা সংস্থা সাহায্য পাঠানো শুরু করলেও পতনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা আফগানিস্তানের ব্যাংকিং ব্যবস্থা তাদের কাজকেও জটিল করে তুলেছে। তাৎক্ষণিক সহায়তা ছাড়াও আফগানিস্তানের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতেও সহায়তা দরকার। এর অনেকটাই নির্ভর করছে ওয়াশিংটন তালেবান নেতাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ওঠাবে কিনা, তার ওপর। ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান ও সরকারই তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি লেনদেনে অনাগ্রহী। দুই দশক পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরা তালেবান আগের সরকারগুলোর কর্মীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানকে অন্য দেশে হামলা চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ না দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে তারা। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ অংশে মেয়েদেরকে মাধ্যমিক স্কুলের বাইরে রাখা এবং ক্ষমা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পরও সাবেক সরকারের কর্মীদের হত্যা-গুম তাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ডন, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
True Mia ১ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৪৪ পিএম says : 1
Pakistani people and politician are disrespectful, if you look at the picture above you will see all guest are sitting politely but Pakistani prime minister sat his leg crossed in front of the guests. Another Bengali paper published a news where Pakistani foreign minister sat his leg crossed so disrespectfully in front of Saudi Ambassador to Pakistan. Still Pakistani is uncivilized since 1971
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন