গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়ে মাঠে ময়দানে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছেন যুবদল নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার বিশাল বিজয় র্যালী পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে এ আহবান জানান তারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশীরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু ভোটারবিহীন শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই, নেই কোন স্বাধীনতা ও মানবাধিকার। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে তাবেদার ও স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তার প্রভুদের সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যস্ত। তিন তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সু-চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে না পাঠিয়ে ধুকে ধুকে মারছে।
বক্তারা অবিলম্বে দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর জোর দাবি জানান। বক্তারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ত্বরান্তিত করতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানান।
গতকাল সোমবার বেলা ২টায় সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে এ বিজয় র্যালী বের করা হয়। র্যালীতে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। র্যালীটি মহানগরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র্যালী শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। র্যালী পরবর্তী সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনের বিক্ষোভ সমাবেশে সিলেট মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন। মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক ও জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মকসুদ আহমদের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেটের ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌর শহরের নেতৃবৃন্দ এবং সিলেট মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন