বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঝিনাইদহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত

প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস সড়কে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জহুরুল ইসলাম টিটোন ৩৫ ও তারিক হাসান সজিব ৩০ নামের দুই যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের ৩ কনস্টেবল নাসিম, আলমগীর ও বুলবুল আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। নিহত তারিক হাসান আরাপপুরের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। অন্যদিকে কালীগঞ্জের আগমুন্দিয়া কলেজের প্রভাষক ও ঝিনাইদহ শহর জামায়াতের আমির জহুরুল ইসলাম টিটোন ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলোনির বাসিন্দা সমসের আলী মোল্লার ছেলে। তার বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত শাখা কর্মকর্তা। এদিকে নিহতের স্বজনদের দাবি জহুরুল ইসলামকে গত ৭ সেপ্টেম্বর ও তারিক হাসানকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার অলী শেখ জানান, শহরের বাইপাস সড়ক দিয়ে কালীগঞ্জ থেকে ৩টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। পবহাটি শহীদ নজির উদ্দীন সড়কে মোটরসাইকেল ৩টি পুলিশের টহল দল থামানোর সংকেত দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ২টি মোটরসাইকেলে তাদের কয়েকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মোটরসাইকেল ২টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি হাতবোমা ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করেছে।
ঝিনাইদহ হাসপাতাল মর্গে সজিবের শ্যালক মুসা দাবি করেন তার ভগ্নিপতি কোন দলের সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি হারবাল চিকিৎসার উপর লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে রোগী দেখতেন। এরপর তিনি সিরাজগঞ্জে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন। মুসা অভিযোগ করেন গত ঈদুল আযহার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ পরিচয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয় হয়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডিও করেছেন তারা। সজিবের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা সন্ত্রাসী কর্মকা-ের অভিযোগ নেই বলেও দাবি করে তিনি।
এদিকে জহুরুল ইসলামের বাবা সমসের আলী মোল্লা জানান, তার ছেলে গত ৭ সেপ্টেম্বর ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে ফেরার পথে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকেই জহুরুল ইসলাম নিখোঁজ ছিলেন। জহুরুল ইসলাম ছাত্র জীবনে শিবিরের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ও পরবর্তীতে ঝিনাইদহ শহর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি কোন সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সাথে জড়িত ছিলেন না বলে তার পরিবারের দাবি।
বন্দুকযুদ্ধে’ একজন গুলিবিদ্ধ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান। পুলিশ বলছে, আহত নাসির উদ্দীন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও ডাকাতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আমিনুল বলেন, সোমবার উপজেলার বারোবাজার এলাকা থেকে ডাকাত নাসিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। “মঙ্গলবার ভোরে তাকে নিয়ে ধোপাবিলা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। জবাবে পুলিশও ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় নাসির।” ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও দুটি দা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন