বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আলেমদের অবদান পাশ কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনা অসম্ভব : মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

 ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, তারা নিজের জীবন বাজি রেখে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা ৫০ বছর অতিক্রম করলেও এখনো মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক দাবি পূরণ হয়নি। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের থেকে স্বাধীন হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রনয়ন ও প্রয়োগে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে বারবার দলীয় মদদপুষ্ট মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শায়খে চরমোনাই আরো বলেন, এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছেন আলেমসমাজ, তাদের অবদান পাস কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্ভব। আলেমদের অবদান বাদ দিয়ে অথবা তাদের চেতনার বিরোধী কোনো বিষয় মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংযুক্ত করার প্রবণতা সুফল হবে না। বৃটিশ খেদাও আন্দোলন, দেশ বিভাজনের আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আতœজীবনীতে তিনি বলেন, “আমি আগে মুসলিম; তারপর বাঙ্গালী”। তাই একথা স্পষ্ট প্রমাণিত ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য নয় বরং ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে দেশ পরিচালনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সর্বমোট খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৬৭৭ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ০৬ জন অমুসলিম। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মুসলিম ও আলেমদের অবদান সকলকেই একবাক্যে স্বীকার করতে হবে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল-আজহারী, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক¦ারী আলতাফ হোসেন রাঢ়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা কাবীরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হাফেজ ম্ওালানা আবুুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আলী। প্রোগ্রাম শেষে সংবর্ধিত আলেম মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন প্রধান অতিথিবৃন্দ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন