শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

তাবেলা হত্যায় বিএনপি নেতাসহ ৭ জনের বিচার শুরু

প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোর্ট রিপোর্টার : ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৪ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার ও তাপস কুমার পাল জানান, এ মামলার অভিযোগ গঠনের আগে সাত আসামির মধ্যে পাঁচজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে। অভিযোগ গঠনের আগে আদালতে উপস্থিত ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চেয়েছে। শুনানী শেষে বিচারক অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করেছেন। এরফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। তবে এ অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এরআগে চলতি বছর ২৮ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) গোলাম রাব্বানী আদালতে সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ২৪ অগাস্ট অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়ে পলাতক দুই আসামি কাইয়ুম ও সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুম, কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ও ভাঙারি সোহেল। এ সাত আসামির মধ্যে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসমিদের মধ্যে কাইয়ুম ও ভাঙারি সোহেল পলাতক রয়েছেন। তবে সোহেলের পরিবারের অভিযোগ, গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে গত অক্টোবরে সোহেলকে মধ্য বাড্ডা থেকে তুলে নিয়েছে। এরপর তাঁর আর কোনো সন্ধান মেলেনি।
এরআগে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের ফুটপাতে তাবেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি করে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কাইয়ুমের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে তাবেলা সিজারকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছিলেন মতিন। মতিন অন্যদের ভাড়া করেন।
গত শুক্রবার র‌্যাব এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিল গত ১৪ মাসে গুলশানের হলি আর্টিজানসহ সারা দেশে যে ২২টি জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার নেতৃত্ব দিয়েছে সারোয়ার জাহান। এই সারোয়ার জাহানই নব্য জেএমবির প্রধান (আমির)। তাঁর সাংগঠনিক নাম ‘শাইখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ’। আর তাঁর নেতৃত্বে প্রথম হামলার শিকার হন তাবেলা সিজার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন