মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অসদাচরণের দায়ে তিন বিচারক চাকরিচ্যুত

প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি, অসদাচরণ ও অদক্ষতার দায়ে তিন বিচারকের চাকরিচ্যুতির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তিনজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকার, খুলনার সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মঈনুল হক এবং জামালপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা জজ মো. সিরাজুল ইসলাম। কারণ দর্শানোর প্রেক্ষিতে তাদের লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিকালে প্রদত্ত বক্তব্য, তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাদের দোষী সাব্যস্ত করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। গতকাল (মঙ্গলবার) মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম ইনকিলাবকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ২ জনের ব্যাপারে গত সোমবার এবং অন্যজনের ব্যাপারে ৬ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বলে জানান তিনি। এর আগে ১১ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ৪ বিচারককে চাকরিচ্যুতির ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব পালনকালে বিচারক মো. রুহুল আমিন খোন্দকারের বিরুদ্ধে জামিন, চাকরি, জমির ইজারা প্রদানসহ বেশ কিছু বিষয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই ওই বিচারকের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন না দিয়ে ছেড়ে দেন এবং উৎকোচের বিনিময়ে একই বছরের ১৩ আগস্ট জামিন দেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা জজ আদালত চত্বরের জায়গা ইজারা দেয়া ও চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির মোট ৭টি অভিযোগ ওঠে। এ সব অভিযোগের তদন্ত করে প্রমাণ পায় তদন্ত কর্মকর্তা।
২০০৮ সালে খুলনার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালনকালে মঈনুল হকের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই সময় খুলনার জেলা জজ তদন্ত করে দেখতে পান, ৬৫টি ক্রিমিনাল আপিল, ১২টি ক্রিমিনাল রিভিশন, ৬৪টি সিভিল আপিলসহ মোট ১৪১টি মামলা শুনানি করে রায়ের জন্য স্তূপাকারে রেখে দেন। খুলনা বার সমিতির ৬৮ জন আইনজীবী মঈনুল হকের দুর্নীতি এবং ১৫০টির ওপরে আপিল শুনানি করে টাকার বিনিময়ে রায় দিয়েছেন। এসব উল্লেখ করে খুলনা থেকে তার অপসারণের জন্য আবেদন জানান। পরে তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ২০০৯ সালে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা জজের দায়িত্ব পালনকালে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনজীবী সমিতি, মামলায় সম্পৃক্ত আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীরা একাধিক অভিযোগ তোলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। যা পরবর্তীতে তদন্তে প্রমাণিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন