বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

প্রশ্ন : হিজাব পরছি বেশ কয়েক বছর ধরে। কিন্তু করপোরেট অফিসে চাকরির সুবাদে সবসময় ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরতে হয়। আর আমি নিজেও জিন্স, টি-শার্ট পরে অভ্যস্ত। আমার কি গুনাহ হচ্ছে?
উত্তর : হিজাব পরছেন শুনে খুশি হলাম। তবে বাইরে বেরুবার সময় বা পর পুরুষের সামনে নিজের পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। এ জন্যই শালীন ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা জরুরি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস অফিসে জরুরি হলে এসবের ভেতর দিয়েও ফরজ পর্দা সেরে নেয়ার চেষ্টা করবেন। মাথা এবং বুক যেন যে কোনো কাপড়ে ভালোভাবে ঢাকা থাকে। যার নির্দেশ পবিত্র কোরআনে দেয়া হয়েছে। নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে গোনাহর আশঙ্কা থেকেই যায়। এ জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকবেন ও ত্রুটি থেকে থাকলে সংশোধন করে নেবেন। এমনিতে ঘরের ভেতর আপনি যখন শরিয়তসম্মত আপনজনদের মধ্যে থাকেন, তখন জিন্স, টি-শার্ট পরার সামান্য সুযোগ রয়েছে। যেমনÑ কামিজ-পাজামা, শাড়ি, মেক্সি, নাইটি আমাদের দেশের মেয়েরা ঘরে পরে থাকেন। অনেক আরব মেয়েরা ঘরে খুবই সংক্ষিপ্ত পোশাক পরে, কিন্তু যেখানে পর্দার হুকুম সেখানে তারা সারা শরীর খুব উত্তমরূপে ঢেকে বের হয়। বড় চাঁদর, গাউন, বোরকা, হিজাব ইত্যাদিতে তারা এতই আবৃত থাকে যে, তাদের পরনে জিন্স, টি-শার্ট বা অন্য কি আছে তা কারো বোঝার উপায় থাকে না। এখন আপনার জীবনশৈলীর সাথে আলোচনাটি মিলিয়ে দেখুন।
প্রশ্ন হচ্ছেÑ সেখানে কি আমার বোনকে দেয়া জায়েজ হবে?
উত্তর : আপনার সার্বিক অবস্থার বিবরণ প্রশ্নে যেভাবে আছে, বাস্তবেই যদি সবকিছু এমন হয়ে থাকে, তা হলে নিজেদের জীবন রক্ষার্থে আপনার বোনকে সেই আশ্রমে দেয়া যেতে পারে। কারণ, সে আপনাদের খুন করতে চায়। তার চিকিৎসার সামর্থ্য আপনাদের নেই, বাবা অসুস্থ, ভাইও নেই। প্রথমে কোনো মুসলিম আশ্রয়দাতা সংস্থা খুঁজে দেখুন। পূর্ণ চেষ্টার পর ব্যর্থ হলে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় সেখানেই দিয়ে দিন। খোঁজখবর রাখবেন, সুস্থ হলে বাড়ি নিয়ে আসবেন।
প্রশ্ন : বেহেশত পাওয়ার আশায় ইবাদত করা কি ঠিক? আমি জানি যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত করা হলো মুমিনের দায়িত্ব। বুঝিয়ে বিস্তারিত বললে ভালো হতো।
উত্তর : বেহেশত পাওয়ার আশা আর জাহান্নাম থেকে মুক্তি, এ দু’টি আল্লাহর সন্তুষ্টিরই নিদর্শন। সুতরাং এই আশা এবং ভয় ঈমানের অঙ্গ। এসবে কোনো দোষ নেই। বলা যায়, আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া আর বেহেশতে যাওয়া একই অর্থ। অপর দিকে, আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও জাহান্নামে যাওয়া একই অর্থবোধক শব্দ। সুতরাং বেহেশত চাই না, জাহান্নামকে ভয় পাই না, এ ধরনের কথা আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে। এসব বাদ দিয়ে আমি শুধু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চাই এমন কোনো কথা শরিয়তে পাওয়া যায় না। এসব যেভাবে কোরআন-হাদিসে আছে সেভাবেই চিন্তা করা দরকার। নিজ থেকে চিন্তা করে বেশি বোঝার আলাদা কোনো প্রয়োজন নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন