পৌষ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে দেশের অধিকাংশ স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। মাঠ-ঘাট, গ্রাম-জনপদ, শহরতলী, নদ-নদী অববাহিকা কুয়াশার চাদরে মোড়া। রাত থেকে সকাল অবধি কুয়াশাপাতের কারণে সড়ক-মহাসড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শীত-কুয়াশার সঙ্গে ধুলোবালি, ধোঁয়ার দূষণের কারণে সর্দি-কাশি-জ¦র, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, শ^াসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বারে বেড়েছে রোগীর ভিড়।
এদিকে উত্তরাঞ্চল ও কিছু কিছু এলাকা বাদে দেশে সার্বিকভাবে পৌষের শীতের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম রয়েছে। এ সপ্তাহে তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এরফলে শীতের মাত্রা আপাতত সহনীয় থাকারই সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল উত্তর জনপদের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া আপাতত কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭.৮ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৬.৪ ও সর্বনিম্ন ১৫.৪ ডিগ্রি সে., চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ২৬.১ ও সর্বনিম্ন ১৫ ডিগ্রি সে.।
আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া জানান, সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদ-নদী অববাহিকা ও এর সংলগ্ন এলাকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন