কক্সবাজারে পর্যটক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি ইস্রাফিল হুদা জয়াকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার চকরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামিসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো। দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম জানিয়েছেন, অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে। সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছেন তারা। গ্রেফতার ই¯্রাফিল হুদা জয়াকে আজ বুধবার আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, মাদারীপুরে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী আশিকুল ইসলাম আশিককে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামী, হোটেল জিয়া গেস্ট ইন এর ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গতকাল দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার তিন আসামী কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন, চকরিয়াউপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান।
এদিকে ভুক্তভোগী নারীর দাবি, গত ২২ ডিসেম্বর শহরের কবিতা চত্ত্বরে রোড সংলগ্ন এক ঝুপড়ী ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেলে। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তিনি ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চারজনের নাম উল্লেখ করে ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী স্বামী।
অপরদিকে সানজিদা নামে ওই নারীর বিরুদ্ধে উঠেছে নানা ধরনের অভিযোগ। জানা গেছে কয়েক মাস আগে এই মহিলা হোটেল মোটেল জোনে অনৈতিক কর্মকান্ড এবং মাদক সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল পুলিশের হাতে। এক সাক্ষাৎকারে গৃহবধূ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, তার সংসার চালাতে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের অপরাধ কাজে জড়িত হয়েছে। একই সাথে গ্রেফতার হওয়া আশিক এবং জয়ার তার পূর্ব থেকে সম্পর্ক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন