স্টাফ রিপোর্টার : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জিআর, টিআর ও কাবিখা বরাদ্দের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সব ধরনের বরাদ্দের ক্ষেত্রে টাকা দেয়া এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনেও জিআর, টিআর ও কাবিখা বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ক্ষোভ প্রকাশ ও সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, তালুকদার আব্দুল খালেক, বি, এম, মোজাম্মেল হক, আবদুর রহমান বদি, মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, এস.এম. জগলুল হায়দার, সৈয়দ আবু হোসেন ও হেপী বড়াল। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ২৩ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবে ‘মন্ত্রী-এমপিদের নাম ভাঙ্গিয়ে ত্রাণের টাকা হরিলুট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর একদিন পরই বিষয়টি সংসদীয় কমিটির আলোচনায় আসে।
টিআর-কাবিখার বিশেষ বরাদ্দকে কেন্দ্র করে একটি দালালচক্রই গড়ে উঠেছে। আর এই দালালচক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন জনৈক সুশান্ত কুমার ভৌমিক আকাশ। দালালরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মন্ত্রী, এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের প্যাড সংগ্রহ করে তাতে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ চেয়ে ডিও লেটারসংবলিত বিভিন্ন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্র তৈরি করা হয়। তারপর আবেদনপত্র পৌঁছে দেয়া হয় মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ সিন্ডিকেটের কাছে। মন্ত্রীর মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে বরাদ্দের আদেশ বের করে নিয়ে আসতে এ সিন্ডিকেট বিশেষ ভূমিকা রাখে। তারপর আদেশ পৌঁছে দেন দালালচক্রের কাছে। তারা বরাদ্দের বিপরীতে অর্থ সংগ্রহ করে আকাশের নিকট জমা দেন। সেখান থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ওই অর্থ ভাগ হয়।
এদিকে বৈঠকে বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে সুষম বণ্টনের বিষয়টি লক্ষ্য রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি। একইসঙ্গে সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে পশ্চাৎপদ, অনুন্নত এলাকা চিহ্নিত করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ব্রিজ/কালভার্ট বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন