স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ অন্য শিশু ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে, যাতে করে অভিযুক্তদের কম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা যায়। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করতে কেউ সাহস না পায়। গতকাল (বুধবার) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের জুডিসিয়াল কর্মকর্তাদের ১০ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় করার জন্য শেখ হাসিনার সরকার সবরকম সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সংবিধানের ২২ ও ১১২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের বাস্তবতা হচ্ছে- সরকার বিচার বিভাগের কোন বিচারিক কাজেই হস্তক্ষেপ করে না। বিচারকগণ মামলার প্রতিটি পর্যায়ে সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে এবং বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরো বৃদ্ধি পাবে। বিচারকদের মাধ্যমে মানসম্পন্ন বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং কিছু পদক্ষেপের বাস্তবায়নও সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এ পথ পরিক্রমায় সমস্যা বা চ্যালেঞ্জও নিতান্ত কম নয়। দেশের আদালতসমূহে বিদ্যমান মামলাজটসহ বিচার ব্যবস্থার সমস্যাদি সম্পর্কে সরকার ওয়াকিবহাল এবং যথেষ্ট সচেতন। যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে পুরনো আইনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন, আদালতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অব্যাহত প্রশিক্ষণ, বিচারকদের পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে বিচার বিভাগের কাক্সিক্ষত সংস্কার কার্যক্রমকে সরকার আরো এগিয়ে নিতে চায়।
আনিসুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে তিনি (প্রধান বিচারপতি) যেটা বলেছেন, সেটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত। আমার মনে হয় ওনি (প্রধান বিচারপতি) যুদ্ধাপরাধীদের মূল অপরাধী বা ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে বলতে পারেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক বিচারক খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন