মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বরাদ্দ থাকবে অর্থমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাল্যবিবাহ বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে আগামী বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ে হওয়া দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য প্রতিবন্ধক। অপুষ্টিও আমাদের অন্যতম সমস্যা। এ দুটি সমস্যা মোকাবিলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে।
অনুষ্ঠানে ‘স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। খাদ্য কর্মসূচির এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় চার কোটি মানুষ এখনো খাদ্য সংকটে আছে। এমনকি তিনবেলা পেটপুরে খাওয়া তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছেমতো বৈচিত্র্যময় খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। এজন্য তারা অপুষ্টিরও শিকার।
একই সঙ্গে, বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও এখনো প্রতি তিনজনে একটি শিশু নিপীড়নের শিকার হয়। নানা পদক্ষেপের পরও গত কয়েক বছরে দেশের অতি অপুষ্টিহীনতার হার সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। দেশের গ্রামাঞ্চল ও বস্তিতে এ প্রবণতার হার বেশি।
প্রতিবেদনে একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় খাদ্য সংকট ও অপুষ্টিকে প্রধান অন্তরায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ অন্য দেশের অপুষ্টি দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে হবে। অপুষ্টির হার কমাতে গণসচেতনতাসহ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ, দায়িত্ব, সচেতনতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। সমাজের প্রতিটি নাগরিককে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নারীদের বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও চাষাবাদের পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। জোরদার করতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।
২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ দেশগুলোর বাস্তব অগ্রগতি তুলে ধরতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদন তৈরিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও নানা উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা নেয়া হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শহিদুল ইসলাম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের যুগ্ম প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি ক্রিসটা রাদের, চিফ অব স্টাফ জেমস হার্ভে বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন