প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহিষ্ণুতা এবং সমাজে সমতা ও সমৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী এবং দৃঢ়চেতা যুব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বঙ্গভবন থেকে এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাপী যুব সমাজকে একত্রিত করার অন্যতম বৃহৎ প্লাটফরম ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ এর বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তরুণরাই আমাদের সাম্প্রতিক উন্নয়নের সম্মুখ সারির লড়াকু শক্তি। এটি আমাদের আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী করে যে, এই তরুণরাই একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুবকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোন কিছু অর্জন করতে পারে। বাংলাদেশে তরুণদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, এতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ জনসংখ্যাগত সুবিধায় রয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং জাতির উত্থান অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, যুবকরা সবসময়ই উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, ঠিক যেমনটি তারা কোভিড-১৯ মহামারির সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় করেছে।
প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, তরুণরা ‘সমতা ও সমৃদ্ধির জন্য সহিষ্ণুতার’ দর্শন আত্মস্থ করবে এবং সমাজ ও মানবতার জন্য অবদান রাখবে। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিশ্ব দ্রুত বদলে যাচ্ছে, তরুণরাই অগ্রগতির বাহক এবং তারা এ এ পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জাতিসংঘের (ইউএন) পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্ত:সরকারি সংস্থা। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্য হয় এবং তখন থেকে সংস্থাটির সাথে একটি শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে।
ঢাকাকে ওআইসি যুব রাজধানী ২০২০ হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য ওআইসি এবং ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, অভিন্ন বিশ্বাস ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলো সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর আগামী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন