প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পুমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রদত্ত ভোটের হিসেবে গরমিল প্রশ্নে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ প্রতিপালন না করায় আজ রবিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়। আদালত অবমাননার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সিইসি ছাড়া বাকি চার জন হলেন, ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বায়েজিদ আলম। তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবুল কাশেম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
পরে এবিএম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়ায় পুমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী আহমেদ কবির ১১ ভোটে পরাজিত হন। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ওয়াডের্র মোট ভোটার সংখ্যা ২১৭৯ জন। ফলাফলে প্রদত্ত ভোট ওয়ার্ডের সদস্যদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১৪৪৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্যের (একই ওয়ার্ড) ক্ষেত্রে দেখানো হয় ১৪৭৪ জন। এতে আপত্তি তুলে পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে আহমেদ কবির হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তার রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ইসিতে করা আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়।
একইসঙ্গে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফলাফলের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে নির্বাচন কমিশন ওই ইউনিয়নের গেজেট প্রকাশ করে। এই অবস্থায় আহমেদ কবির হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন বলে জানান আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন