শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরলেন এস এ খালেক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৫১ এএম

করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির প্রবীণ নেতা এস এ খালেক। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসায় করোনামুক্ত হয়ে তার কল্যাণপুরের বাসায় ফিরেছেন মিরপুর থেকে পাঁচবার নির্বাচিত এই সাবেক সংসদ সদস্য। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হয়।

এর আগে একই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলাকালে তার হার্ট অ্যাটাক হলে দুশ্চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের। গত শনিবার তার করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে তাকে হাসপাতালটির কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। পরে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার। সেই মতোই রাতে বাসায় ফেরেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।

অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করা এস এ খালেক বৃহত্তর মিরপুর থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই প্রভাবশালী রাজনীতিক কয়েক বছর ধরে বয়সজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে এই রাজনীতিককে। তার হার্টে এখন মোট ১৩টি রিং পরানো রয়েছে। এক বছর ধরে তাকে নল দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। মাঝে বাসায় নেওয়া হলেও কিছুদিন আগে আবার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

স্বনামখ্যাত এই রাজনীতিকের অসুস্থতার পর থেকে তার চিকিৎসার তদারক করছেন ছেলে এস এ সিদ্দিক সাজু। কখনো হাসপাতালে শয্যাপাশে থাকছেন, কখনো আবার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালন করতে ছুটছেন। হাসপাতালে তিনি ছাড়াও আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন তার মা ও স্ত্রী।

একদিকে বাবার চিকিৎসা অন্যদিকে দলের সব কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছেন তরুণ রাজনীতিক সাজু।

প্রবীণ রাজনীতিক এস এ খালেক রাজনীতির পাশাপাশি একজন বড় মাপের ব্যবসায়ীও। আবাসন খাত, পরিবহন সেক্টরসহ নানা খাতে তার বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। সমাজসেবামূলক কাজেও এস এ খালেকের পরিবারের নানা পদক্ষেপ রয়েছে, যার পুরোটাই এখন এস এ সিদ্দিক সাজু দেখভাল করছেন।

প্রায় ৯৪ বছর বয়সী এস এ খালেক তার রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে ছেলে এস এ সিদ্দিক সাজুকে আগেভাগেই সামনে নিয়ে আসেন। ছেলেও জনবান্ধব বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে ধানের শীষের মনোনয়নও পান সাজু।

জানা গেছে, ১৯৯১ সাল থেকে সাজু তার বাবার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কের কাজ করছেন। ২০০৮ সালের পর বাবার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাল ধরেন সাজু। দলীয় কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে এরই মধ্যে ৭৬টি মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। এরপরও এলাকা ছেড়ে যাননি। বরং বিপদে-আপদে নেতাকর্মীদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। মামলা পরিচালনায় সহায়তার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের আর্থিকভাবেও সহায়তা করে আস্থা অর্জন করেছেন সাজু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন