চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীতে কলেজ ছাত্রীকে টানা-হেঁচড়া করে অটোরিকশায় তোলার সময় এক যুবককে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছে পথচারী ও অভিভাবকরা। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছরের কারাদ- দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টার দিকে নগরীর ওয়াসার মোড় থেকে মোহাম্মদ নয়ন (২৯) নামের ওই যুবককে ধরা হয়। নয়ন কক্সবাজারের চকরিয়া থানার মাইজঘোনা সাহারবিল এলাকার ফয়েজুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সুকানুর মানিক জানান, বাওয়া কলেজের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রী হেঁটে ওয়াসার মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই যুবক ছাত্রীটিকে অনুসরণ করছিল। বিষয়টি একজন পথচারী বুঝতে পেরে তিনি যুবকের পিছু নেন। এক পর্যায়ে ওয়াসা মোড়ে যুবকটি ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। নয়ন ওই ছাত্রীকে জোর করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার চেষ্টা করছিল। যখন ছাত্রীটি অটোরিকশায় উঠতে চাচ্ছিলেন না, তখন অনুসরণকারী ব্যক্তি নয়নকে বাধা দেন। এরপর আশপাশে থাকা স্কুলশিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও পথচারীরা জড়ো হন।
নয়নকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল ও কলেজে (বাওয়া) নিয়ে অভিভাবকরা থানায় খবর দিলে সকাল ১০টার দিকে খুলশী থানা পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশ নয়নকে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, তারা নয়নকে চড়-থাপ্পড়ও মারেন। ঘটনার বিষয়ে খুলশী থানার ওসি জানান, ইভটিজিংয়ের অপরাধে একজনকে থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে পরে তাকে এক বছরের কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আখতার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে সাজার আদেশ দেন। শারমিন আক্তার বলেন, মোহাম্মদ নয়ন নামের ওই যুবককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বছরখানেক আগেও নয়নের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন