শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কার নিয়ে আলোচনা করেছেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : কানাডা ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী নূর চৌধুরীকে বহিষ্কারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহনের জন্য কানাডাকে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন।
স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ডিওন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ডিওনের মধ্যকার  বৈঠকে বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতার বিষয়টিও উঠে আসে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় উঠে এসেছে গুলশান হামলা ও তাহমিদ প্রসঙ্গ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কানাডার বাংলা অনলাইন নতুনদেশ পত্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ব্যাপারে তাদের আইনি প্রতিবন্ধকতা এবং সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেছেন বলে কানাডার সরকারি সূত্রে জানা গেছে। তবে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ডিওন বিষয়টি কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে  তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন।
এতে আরো বলা হয়,  কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ডায়ানা খাদ্দাজ ই-মেইলে জানান, দুই মন্ত্রী কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপাদানগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। ডায়ানা জানান, নিরাপত্তা, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনসহ পারষ্পরিক স্বার্থ এবং উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে দুই মন্ত্রী আলোচনা করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর খুনী নূর চৌধুরীর বহিষ্কার প্রসঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে- সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যেমনটি আগেই বলেছি যে, দুই মন্ত্রী কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপাদানগুলো পর্যালোচনা করেছেন এবং পারষ্পরিক উদ্বেগ ও স্বার্থ বিষয়ে ধারাবাহিক সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর বাইরে আর কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।
এছাড়াও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এয়ার সাভির্স অ্যাগ্রিমেন্টের (এএসএ) সর্বশেষ অবস্থা, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন অ্যাগ্রিমেন্ট (এফআইপিএ) এবং ফরেন অফিস কনসালটেশন বিষয়ে (এফওসি) সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে আলোচনা করা হয়। একমাত্র এফআইপিএ ছাড়া অপর সব চুক্তি এবং এমওইউ এখনো বাকি রয়েছে। এটি কানাডার বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
কানাডার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত চুক্তি ও এমওইউ নিয়ে তারা কাজ করছেন। এ বিষয়ে খুব শিগগির তাদের অবস্থান বাংলাদেশকে জানাতে পারবে। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আসতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রও পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেনের কাছে হস্তান্তর করেন।




 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন