রাজধানীর দারুসসালামে অপহৃত ভিকটিমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে এই নৃশংস হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আরিফুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন ও মো. ইয়ামিন মোল্লা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর দারুসসালাম, মিরপুর মডেল ও শাহআলী থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে মিরপুর জোনাল টিম।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর দারুসালাম থানা এলাকা থেকে নুরুল আমিন নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। পরে তার চাচা দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ভিকটিমের চাচাকে ফোন করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচা দারুলসালাম থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম।
মামলাটির ছায়া তদন্তকালে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা ভিকটিমকে অপহরণ করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ভিকটিমের লাশ জহুরাবাদের বেড়ীবাঁধ এলাকায় ফেলে দেয়।
এ সংক্রান্তে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে গতকাল দারুসসালাম, মিরপুর মডেল ও শাহআলী থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত। গ্রেফতারকৃতরা দারুসসালাম থানার জহুরাবাদস্থ এলাকায় ইমরানের ভাড়া বাসায় ভিকটিমকে ডেকে এনে সুকৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর ভিকটিমের লাশ বস্তাবন্দি করে জহুরাবাদের বেড়ীবাঁধে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের দেখানো মতে জহুরাবাদের বেড়ীবাঁধ এলাকা থেকে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন