শনিবার বন্দুকধারীরা হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে হত্যার চেষ্টা করে। সারা দেশে অপহরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দায়ী করা দলগুলোকে দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উপকণ্ঠে দুই হাইতিয়ান সাংবাদিককে গুলি করে ও জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা অন্য এক সাংবাদিক পালিয়ে নিজের জীবন বাঁচান।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রেডিও স্টেশনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার পোর্ট-আ-প্রিন্স শহরের বাইরে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দুই সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা হলেন আমাদি জন ওয়েসলি এবং উইলগুয়েন্স লুইসাইন্ট। এই মৃত্যুর পিছনে গ্যাংদের একটি দল ছিল।
ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে রেডিও স্টেশনের পরিচালক ফ্রাঙ্কি আট্টি বলেন, জন ওয়েসলি রাজধানীর বাইরে লাবুল এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে যান। এ সময় একদল সন্ত্রাসী প্রথমে তাকে মারধর করে, গুলি করে ও পরে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। আমরা এই বর্বর কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
দেশটির একটি নিরাপত্তা সূত্র সিএনএনকে নিশ্চিত করেছে, দুই সাংবাদিককে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, অন্য একজন সাংবাদিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) দুই সাংবাদিক হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা হাইতি সরকারকে ওই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
এক টুটই বার্তায় সংগঠনটি জানায়, দিন দিন সাংবাদিকদের জন্য হাইতিতে কাজ করা কঠিন থেকে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক দুই সাংবাদিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দেশটিতে লড়াইরত একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎকার নেওয়া দুই সংবাদিককে রাজধানীর বাইরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমার কাছে এ বিষয়ে বলার মতো কোনো ভাষা নেই। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে যা কিছু করার প্রয়োজন তার সব কিছু করতেই হাইতির সরকারের প্রতি আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।’
জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতির তীব্র অবনতি ঘটেছে।
সূত্র: বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন