অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাতের উন্নতির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে দেশটিতে এই খাতে বিনিয়োগের আহŸান জানিয়েছে হাইতির ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে হাইতির ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান।
হাইতির ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কস অথরিটির মহাপরিচালক কার্ল ফ্রিডারিকমেরি ফিলিপ ডেব্রোসের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। হামিম গ্রæপের এমডি এ কে আজাদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, বিনিয়োগের জন্য হাইতিতে জমি, বিদ্যুৎ, দক্ষ শ্রমিকসহ প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। হাইতি সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ তৈরিপোশাক খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে। এ সেক্টরে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা অনেক। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা হাইতিতে তৈরিপোশাক খাতে বিনিয়োগ করলে উভয় দেশ উপকৃত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, হাইতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। বেশকিছু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের হামিম গ্রæপ হাইতিতে তৈরিপোশাক খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাইতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত তৈরি পোশাক রফতানি করতে পারে। এ খাতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ লাভজনক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গত বছর হাইতিতে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তামাক ও তামাকজাত পণ্য, প্লাস্টিক, বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, হাইতির ন্যাশনাল ইন্ডস্ট্রিয়াল পার্কস অথরিটির কনসালটেন্ট জোসেফ পিয়েরি লিওনেল ডিলেটর, হাইতি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট জর্জ বাড়াউ সাসিন, হামিম গ্রæপের কনসালট্যান্ট এস জেড এম শরিফুল ইসলাম এবং নির্বাহী পরিচালক মোফাখখেরুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন