শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আসছে শীতের সবজি কমছে না দাম

প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫০ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শীত এখনও পুরোপুুরি না আসলেও গ্রামে শীতের আমেজ বিরাজ করছে। শীতের সবজির উৎপাদনও বেড়েছে চাষীদের। রাজধানীর কাঁচাবাজার শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। অথচ অনেক দিন ধরেই অনেকটা লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। রাজধানীর বাজারে কোন সবজির কেজি ৫০ টাকার নীচে বিক্রি হচ্ছে না। সবচির মতোই চড়া চাল, ডাল, তেল, চিনি মসলার বাজার। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, শীতের সবজি এখনও পুরোপুরিভাবে আসা শুরু করেনি। পুরোপুরিভাবে আসলেই ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকবে সবজির দাম। তবে ত্রেুতা বলছে, সিন্ডিকেটরে মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে বিত্রেুতা বিত্রিু করে।
রাজধানীর বেশকিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নানা ধরনের শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। শীতকালীন সবজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ছিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, লাউ, বরবটি এবং টমেটোসহ নানা ধরনের সবজি। এছাড়া লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, মূলাশাক, লাউশাকসহ নানা ধরনের শাক পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।
পলাশী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাদেক হোসেন বলেন, শীতকালীন সবজি এখনও বাজারে খুব বেশি আসেনি। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো প্রায় সারাবছর জুড়েই পাওয়া যায়। তবে শীতকালীন মূলা এবং সিমসহ কিছু সবজি আসতে শুরু করেছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বাজারে শীতের সবজির আমদানি বাড়বে। তখন দামও কমবে। বিক্রেতরা আরো জানিয়েছে, পাইকারি বাজারে ও আড়তে সব ধরণের শাক-সবজির দাম চড়া। বাজার থেকে আমাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে, যে কারণে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। পাইকারি বাজারে দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করবো।
অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, শীতের সবজি বাজারে আসার প্রথমদিকে সরবরাহ কম বলে দাম বাড়িয়েছিলেন বিক্রেতারা। এখন সরবরাহ বাড়লেও নানা অজুহাতে দাম কমানো হচ্ছে না। নতুন সবজির দাম বাড়তে পারে- তবে একইসঙ্গে সব সবজির দাম বাড়ার কথা না। তারা আরো বলেছেন, বর্তমানে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন সবজি ব্যবসায়ীরা। নতুন সবজির সঙ্গে তালমিলিয়ে সাধারণ পণ্যগুলোর দামও বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।
বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও প্রতি কেজি শিম ১১০ থেকে ১২০ টাকা; কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা; বেগুন (কালো) ৮০ টাকা ও (সাদা) ৫০ টাকা; গাজর ১০০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা; কাকরোল ৬০ টাকা; শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতিটি ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, জালি ৫০ টাকা এবং লাউ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতি হালি লেবু ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টকো থেকে ১০ কমে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। এছাড়া গত সপ্তাহের চেয়ে ৮০ টাকা বেড়ে আদা (দেশি) ১৮০ টাকা এবং আদা (বিদেশি) ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রসুনের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে দেশি ১৬০ টাকা, ভারতীয় ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১০২ টাকা; কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৯৫ টাকা, মুগ ডাল ১০৫ টাকা, বুটের ডাল ৫৫ টাকা, মাসকলাই ১৩০ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে ঊর্ধ্ব গতি দেখা গেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আজকের বাজারে ১৫৫ টাকায়; লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা; দেশি মুরগি হালি ১২০০-১৪০০ টাকা; পাকিস্থানি লাল মুরগি হালি ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০-২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৮০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা ও দেশি মাগুর ৬০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রকার ভেদে চিংড়ি ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ ধারা, সরবরাহ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ থাকায় বাজারে কোনো ইলিশ চোখে পড়েনি।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে গরু এবং ছাগলের মাংসে যথাক্রমে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক সপ্তহ ধরে চালের বাজার প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা, পারিজা চাল ৪০-৪২ টাকা, মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট (নরমাল) ৪৬-৪৮ টাকা, বিআর আটাশ ৪২-৪৪ টাকা, নাজিরশাইল ৫২ টাকা, বাশমতি ৫৫ টাকা এবং পোলাও চাল মানভেদে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন